মেরে উঠানেই পুঁতে দিল ওরা! কী সাহস?

সৈয়দা সাজিয়া আফরিন
 | প্রকাশিত : ২২ অক্টোবর ২০২০, ১৪:৩২

আফরোজা মাত্র ২৪ বছরের গরিব ঘরের একটা মেয়ে। ৯ মাস আগে বিয়ে হয়েছিল স্থানীয় এক কলেজ প্রভাষকের সাথে। প্রভাষক বাপ্পির আগেও দুইটা বিয়ে হয়ে ছিল। ওই দুই নারীকেও সহ্যের বাইরে নির্যাতন করায় তারা চলে গেছে। গ্রামের মেয়েরা এজ পসিবল সহ্য করে।

দেখতে ভালো বলে স্বামী মারা যাওয়া আফরোজাকে তার চোখে ধরে। মেয়ের ফ্যামিলি ভেবেছে শিক্ষিত ফ্যামিলিতে বিয়ে হচ্ছে। বাপ্পির তৃতীয় আর আফরোজার দ্বিতীয় বিয়ে হলো। সেই সংসারে ছিল প্রথম স্ত্রীর মেয়ে। ৪-৫ বা ৬ তার বয়স। আফরোজাই পালত। মেয়েটি আফরোজাকে মা ডাকত। ওই ছোট মেয়েটাই লাশ কোথায় সেটা বলে দিয়েছে। নতুবা আফরোজা পরকীয়ায় পলাতক এটাই এস্টাবলিশ থাকত।

ওই বাড়ির মাইর এমন ছিল সে মাইর সহ্য না করতে পেরে প্রতিবেশীদের ঘরে লুকাইত। পুরো পরিবার মিলে গরিবের মেয়ে সাইজ করত। ঠিক আছে?

১০-১২ অক্টোবরের মধ্যে যে কোনোদিন আফরোজাকে খুন করা হয়। তার সারা শরীরে কালশিটে দাগ, মুখে জুতা পুরে দেওয়া হয়েছিল। কেমন ঘৃণা নিয়ে নির্যাতন করেছিল ওরা। ওই নির্যাতন একজন করেনি। পুরো পরিবার এতে সরাসরি জড়িত। মারার পরই তারা রটালো পরকীয়া করে চলে গেছে।

আমার কানে ওই দরিদ্র মায়ের কান্না এখনও বাজছে। তিনি বলছিলেন, ‘আর মাইয়ারে জেয়াতা গারি ফেলাইয়ে। হ জনে মিলি মাইরগে আই ত ন দেখি।'

এত কথা কেন বলছি? থানায় মামলা এখনও নেয়নি। লাশ উদ্ধারের পরও। এটা ভাইরাল ঘটনা না। তাই আফরোজার খুনি স্বামী ও খুনি পরিবারটি সহজেই গ্রাম্য পলিটিক্স সাজাচ্ছে। এরা পার পেয়ে যাচ্ছে। অবশ্যই ক্ষমতার প্রভাব আছে সেই কারণটিই মুখ্য।

লেখক: কলামিস্ট

ঢাকাটাইমস/২২অক্টোবর/এসকেএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফেসবুক কর্নার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :