উঠতি বয়সী কিশোরীর বাড়তি যত্নে করণীয়

প্রকাশ | ২২ অক্টোবর ২০২০, ১৪:৫৪

আয়শা সিদ্দিকা

১০-১৯ বছর বয়স। এই সময়টা কিশোরীর জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় কিশোরীর মাসিক চক্র শুরু হয়। এ সময় তাদের বাড়তি পুষ্টির চাহিদা থাকে। আজকের কিশোরী একজন ভবিষ্যৎ মা। তাই খাদ্যের মধ্যেই তার এই বাড়তি চাহিদা মেটানো যায় খুব সহজে।

উঠতি বয়সী কিশোরীদের এ সময় প্রতিদিন তাদের গ্রোথ হতে থাকে। ফলে তার প্রোটিনের চাহিদা বাড়তে থাকে। প্রতিদিন ১-২টি ডিম, ১-২ টুকরা মাছ বা মাংসের টুকরা দিয়ে তার প্রোটিনের এই বাড়তি চাহিদা মেটানো সম্ভব।

এছাড়া দুধ বা দুধের তৈরি খাবার তাকে প্রতিদিন খেতে দিলে তার প্রোটিনের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ক্যালসিয়ামের চাহিদাও পূরণ করা সম্ভব। এতে তার হাড়ের ক্ষয় হওয়াও রোধ হবে।

মাসিকের সময় কিশোরীর আয়রনের বাড়তি চাহিদা থাকে। এ সময় কলিজা, সামুদ্রিক মাছ, আনার, কলা-- এ জাতীয় খাবার বেশি করে দেওয়া উচিত।

এছাড়াও হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে বি ভিটামিনের ঘাটতি, তাই কিশোরীকে দুধ, পনির, টুনা মাছ, ডিম, সবুজ শাক-সবজি , কলা, বাদাম দেওয়া উচিত।

তাকে প্রতিদিন ১-২.৫ লিটার পানি পান করতে হবে এবং অবশ্যই শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকতে হবে।

খাদ্যের পাশাপাশি তার মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। এ সময় অনেক কিশোরী মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। তার পাশে থাকতে হবে এবং তাকে বুঝতে হবে, বোঝাতে হবে যে এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

লেখক: পুষ্টিবিদ, জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল, ধানমন্ডি, ঢাকা।

ঢাকাটাইমস/২২অক্টোবর/এসকেএস