এক চামচ হলুদের কেরামতি

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২২ অক্টোবর ২০২০, ১৪:৫৯

স্বাস্থ্যকর ভেষজ হলুদকে কেউ কেউ ‘ঔষধি ভেষজ’ নামে আখ্যায়িত করেন। হলুদের বোটানিক্যাল নাম কারকুমা লঙ্গানিন। হলুদ হাজার হাজার বছর ধরে সারাবিশ্বে রান্না শিল্পে ব্যবহার হয়ে আসছে। অন্য দিকে হলুদ একটি ঔষধি গাছ হিসেবে সুপরিচিত। এছাড়াও বিভিন্ন কাজে হলুদের ব্যবহারের জুড়ি নাই।

সাধারণত কোনও ভাজাভুজি হোক অথবা কষিয়ে রান্না, তাতে হলুদ গুঁড়া থাকবেই। আবার গোসলের আগে সামান্য একটু কাঁচা হলুদবাটা গায়ে ঘষে নিলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়বেই। এ সব কথা তো আমাদের সকলেরই জানা। তবে হলুদের গুণাগুণ সীমাবদ্ধ নেই এই সামান্য বিষয়গুলোয়।

উৎসবে হলুদ ও নিমপাতা মাখার রীতি রয়েছে কারও কারও। সকালে উঠে অল্প মধু দিয়ে একটু কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খেলে শরীর ভাল থাকবে।

ত্বকের যে কোনও দাগ-ছোপ দূর করতে হলুদের জুড়ি মেলা ভার। আবার অ্যান্টিসেপটিক হিসেবেও কাজ করে হলুদ। তবে কাঁচা হলুদ ত্বকে সরাসরি না লাগানোই ভাল। কারও অনেকের ক্ষেত্রে অ্যালার্জিজনিত সমস্যা থাকে। বরং হলুদের সঙ্গে দুধের সর বাটা, দই বা মূলতানি মাটি, ময়দা বা যে কোনও ফলের রস মিশিয়ে ব্যবহার করলে সবথেকে বেশি উপকার মিলবে।’

অ্যান্টি-এজিং ফ্যাক্টর হিসেবেও হলুদ কাজ করে। এমনকি ডার্ক স্পট, ফাইন লাইনস বা বলিরেখা দূর করতে পারে হলুদের ব্যবহার।

অনেকেই গোড়ালি ফাটার সমস্যায় ভোগেন। নারিকেল তেলের সঙ্গে হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে গোড়ালিতে লাগালে চামড়া নরম হবে।

রান্না করতে করতে হামেশাই তেল ছিটকে বা ঝোল চলকে পড়ে হাত পুড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। অল্প একটু দুধ কিংবা ঠান্ডা দইয়ে সামান্য হলুদ মিশিয়ে পোড়া জায়গায় লাগিয়ে নিতে পারেন। তার পর সেটা শুকিয়ে গেলে আলতোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এ ভাবে সপ্তাহ দুয়েক হলুদ লাগাতে থাকলে পোড়া দাগ অনেকটাই হাল্কা হয়ে যাবে।

ত্বকের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনার জন্য অনেকে হলুদকে প্রাধান্য দেন। এক চামচ মধু, এক চামচ দুধ, আর এক চিমটি হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে ফেস প্যাক তৈরি করতে পারেন। সপ্তাহে তিন-চার বার এই প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।

স্ট্রেচ মার্কস দূর করার জন্য হলুদ গুঁড়া, কেশর ও লেবুর রস মিশিয়ে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। দাগ হাল্কা না হয়ে যাওয়া পর্যন্ত এটা ব্যবহার করলে অনেকাংশেই মুক্তি পাবেন।

ত্বকে ব্রণ দূর করতেও হলুদের জুড়ি নেই। হলুদের মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ থাকার দরুণ ব্রণের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া মারতে সাহায্য করে। এর জন্য দু’চামচ চন্দন কাঠের গুঁড়া, আধ চামচ হলুদ গুঁড়ার সঙ্গে সামান্য দুধ মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। সারা মুখে সেই মিশ্রণ লাগিয়ে নিন। পেস্ট শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।

এক চা চামচ বেসনের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে হালকা পেস্ট তৈরি করে নিন। ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় সেই পেস্ট লাগিয়ে অন্তত ২৫ মিনিট রাখুন। হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।

(ঢাকাটাইমস/২২অক্টোবর/আরজেড/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

ফিচার এর সর্বশেষ

কিডনি রোগ বাড়ছে শিশুদেরও! যেসব লক্ষণ দেখলেই সতর্কতা জরুরি

সস্তার পেয়ারার গুণে বশে থাকে ডায়াবেটিস-উচ্চ রক্তচাপসহ নানা জটিল রোগ

যে পাঁচ সমস্যায় আক্রান্তরা গুড় খাওয়ার আগে একবার ভাবুন, নইলে...

সাজেদুর রহমান শাফায়েতের স্বপ্ন পৃথিবী ঘুরে দেখা

খাওয়ার পরপরই চা পান উপকার না ক্ষতি? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

জ্বরের মধ্যে যে পাঁচ খাবার খেলেই বিপদ! জানুন, সাবধান হোন

গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে ডায়াবেটিস রোগীদের! সুস্থ থাকবেন যেভাবে

মুখে দুর্গন্ধের কারণে হা করতেও অস্বস্তি লাগে? সমাধান কী জানুন

লিভার ভালো রাখে লাউ! ওজন এবং উচ্চ রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে

কিডনি ভালো রাখে আমের পাতা! উচ্চ রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :