বেরোবিতে কর্মচারী বরখাস্তসহ ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশ | ২২ অক্টোবর ২০২০, ১৭:৫৫

বেরোবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

শিক্ষার্থীদের পতিতা বলা সেই কর্মচারী খোরশেদ আলমের স্থায়ী বরখাস্তসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নং গেট সংলগ্ন পার্কের মোড়ে এ মানববন্ধন হয়।

মানববন্ধনে উল্লিখিত দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের পতিতা বলা সই কর্মচারী খোরশেদ আলমকে অনতিবিলম্বে স্থায়ী বরখাস্ত করতে হবে, সেশনজট নিরসন করতে হবে, সকল বিভাগে দ্রুত অনলাইন ক্লাস নিশ্চিত করতে হবে, যেসব পরীক্ষার ফলাফল আটকে আছে সেগুলোর ফলাফল দ্রুত প্রকাশ করতে হবে এবং অষ্টম সেমিস্টারে যাদের চূড়ান্ত পরীক্ষা আটকে আছে তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ হলো শিক্ষার্থীরা। আর সেই শিক্ষার্থীদের পতিতা, হকার, কুলাঙ্গার বলা সেই কর্মচারীর শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন সংগঠন বিবৃত দিলেও এখন পর্যন্ত প্রশাসন নিরব ভূমিকায় রয়েছে। দীর্ঘদিনেও তার শাস্তি নিশ্চিত না করে উল্টো উপাচার্য তার বাড়িতে দাওয়াত খেয়েছেন। খোরশেদ বলেছিল, সে নাকি উপাচার্যকে বলেই আমাদের (শিক্ষার্থীদের) পতিতা বলেছে। আর উপাচার্যও এই ব্যাপারে স্পষ্ট কোন বক্তব্য দেন নি। খোরশেদ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে শুধু নয়, মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়াকে অপমান করেছে, অপমান করেছে এই ক্যাম্পাসের পবিত্র মাটিকে। যদি তাকে দ্রুত স্থায়ী বরখাস্ত করা না হয়, তাহলে আমরা পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। এসময় খোরশেদকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।

সেশনজট বিষয়ে তারা বলেন, ‘অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট নিরসনসহ তাদের সকল বিভাগ অনলাইনে ক্লাস নিতে পারলে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পারবে না কেন? কেন আমাদের চার বছরের অনার্স শেষ করতে সাত থেকে আট বছর সময় লাগছে। শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে খেলা বন্ধ করেন। না হলে শিক্ষার্থীদের পরিবারের হাহাকার আপনাদের অভিশাপে পরিণত হবে। আপনাদের (বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষকদের) কাছে অনুরোধ, সেশনজটের ভয়াল থাবা থেকে আমাদের মুক্তি দিন।’

এদিকে পাঁচ দফা দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে উল্লেখিত দাবিগুলোর সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি তুষার কিবরিয়া।

তিনি বলেন, ‘খোরশেদ একজন কর্মচারী হয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছে, এজন্য অবশ্যই তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরিচ্যুত করতে হবে। সে একজন কর্মচারী হয়ে চরম সীমালঙ্ঘন করেছে।’

(ঢাকাটাইমস/২২অক্টোবর/পিএল)