৫০০ শয্যা বাড়ছে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে

প্রকাশ | ২২ অক্টোবর ২০২০, ১৭:৫৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

‘জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। আগামী মাসেই (নভেম্বর) হাসপাতালের বর্ধিত অংশে চিকিৎসাসেবা চালু করা যাবে। ৭০০ থেকে শিগগিরই হাসপাতালটি ১২০০ শয্যায় উন্নীত করা হবে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের নবনির্মিত কার্ডিয়াক ক্যাথল্যাব জোন-২ এর উদ্বোধন শেষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের সকল হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা দ্বিগুণ করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজকে ৫ হাজার বেডে উন্নীত করা হচ্ছে। হৃদরোগ ইনস্টিটিউটেও শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনা মোকাবিলায় সরকারের সফলতা তুলে ধরেন এবং চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও নার্সদের ধন্যবাদ জানান।
মন্ত্রী বলেন, মহামারি এই সময়ে দেশের স্বাস্থ্যখাত করোনাভাইরাস মোকাবিলার করার পাশাপাশি অন্যান্য চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রেখেছে। একদিকে করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে, অন্যদিকে নন-কোভিড চিকিৎসাসেবা বৃদ্ধি করা নিয়েও কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ৮ বিভাগে ৮টি উন্নত মানের ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ কাজের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আনার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোনো দেশকে ভ্যাকসিনের স্বীকৃতি দেয়নি। যখনই কোনো দেশ স্বীকৃতি পাবে আমরা সবার আগে সেটি দেশে নিয়ে আসব। ভ্যাকসিন আনতে সরকার অন্যান্য দেশের সঙ্গেও আলোচনা অব্যাহত রেখে চলেছে। ভ্যাকসিন অনুমোদন পেলে আমাদের দেশে আনতে কোনো বিলম্ব হবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। করোনায় সারাবিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার অনেক কমেছে।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনা চিকিৎসার জন্য দেশের হাসপাতালে আলাদা করে ১৫-২০ হাজার শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন ছিল না। আমরা ৭৮টি হাসপাতালে সেন্টার অক্সিজেন লাইন স্থাপন করার অনুমোদন দিয়েছি। পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে হাইফ্লো নেজাল ক্যানোলা স্থাপন করেছি। এখন হাসপাতালের আইসিইউগুলো ভালো চলছে। আমরা অল্প সময়ে অনেক কাজ করেছি।
শীতকালে দেশে আবার করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটি মোকাবিলা করার জন্য অবশ্যই সবাইকে মাস্ক করতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, শারীরিক দূরত্ব বজায় থাকতে হবে। এছাড়া শীতকালে যেসব অনুষ্ঠান বেশি হয়, সেসব অনুষ্ঠানগুলো সীমিত আকারে করার অনুরোধ করেন তিনি।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালকের বিভিন্ন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জাহিদ মালেক হৃদরোগের চিকিৎসা বিশ্বমানের করার জন্য ওসিটি মেশিন, রোটা বোটার মেশিন, কার্ডিয়াক এমআরআই মেশিন দেবেন বলে আশ্বাস দেন।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজসহ অন্যান্যরা।
(ঢাকাটাইমস/২২অক্টোবর/বিইউ/ইএস)