ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতেই রায়হানের মৃত্যু: দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত

প্রকাশ | ২২ অক্টোবর ২০২০, ২১:৩৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সিলেটে পুলিশ হেফাজতে নিহত রায়হান আহমদের মৃত্যু ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতেই হয়েছে বলে দ্বিতীয় দফার ময়নাতদন্তে জানিয়েছে ওসমানী মেডিক্যালের ফরেনসিক বিভাগ। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) এ রিপোর্ট হস্তান্তর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মুহিদুল ইসলামের কাছে রিপোর্টটি হস্তান্তর করে ফরেনসিক বিভাগ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শামসুল ইসলাম। তিনি বলেন, নিহত রায়হানের প্রথম দফা ময়নাতদন্ত রিপোর্টের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার রিপোর্টটির মিল রয়েছে। ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতের কারণেই রায়হানের মৃত্যু হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই সিলেটের পুলিশ পরিদর্শক মুহিদুল ইসলাম বলেন, ওসমানী মেডিক্যাল থেকে রায়হানের দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। এই রিপোর্টটি প্রাথমিক রিপোর্ট।

এর আগে, পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য রায়হানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল বাতেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রায়হান আহমদের মরদেহ কবর থেকে তোলার অনুমতি দেন জেলা প্রশাসক। পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে বর্তমানে এই মামলাটির তদন্ত করেছে পিবিআই।

গত ১৫ অক্টোবর সিলেট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজিব আহমেদের উপস্থিতিতে আখালিয়া নবাবী মসজিদ কবরস্থান থেকে রায়হানের লাশ উত্তোলন করা হয়।

এর আগে ১১ অক্টোবর ভোরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন রায়হান আহমদ (৩৪) নামের এক যুবক। পরে সকালে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে তিনি মারা যান।

রায়হান সিলেট নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি নগরীর রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে কাজ করতেন।

এই ঘটনায় ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে পুলিশী হেফাজতে মৃত্যু আইনে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী।

এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে রায়হানকে ফাঁড়িতে এনে নির্যাতনের প্রাথমিক প্রমাণ পায় কমিটি। এই তদন্ত কমিটির সুপারিশে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূইয়া, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটুচন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত এবং এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়।

মামলার প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবর পলাতক রয়েছেন বলে দাবি পুলিশের।

ঢাকাটাইমস/২২অক্টোবর/ইএস