‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের হতে না পারলে ধর্ষণ দূর হবে না’

প্রকাশ | ২৩ অক্টোবর ২০২০, ১৫:৩৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের হতে না পারলে দেশ থেকে ধর্ষণ দূর করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। তিনি বলেন, উন্নয়নের সঙ্গে সুশাসন না থাকলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অসাড় হয়ে যায়। তেমনি, বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের হতে না পারলে উন্নয়ন অর্থহীন হয়ে পড়ে।

শুক্রবার সকালে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান-এর বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে উপজেলা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাবলু বলেন, ‘দেশের মানুষ নারীর সম্ভ্রম রক্ষার দাবিতে রাজপথে নেমেছে। এর চেয়ে লজ্জার কিছু নেই। দেশের মানুষ ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন থেকে মুক্তি চায়। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নয় শুধু জাতীয় পার্টিই পারে দেশ থেকে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনসহ সকল অনাচার দূর করতে। তাই দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে দরকার হয়ে পড়েছে জাতীয় পার্টির সরকার।‘

মানুষ উন্নয়নের সঙ্গে সুশাসন এবং আইনের শাসন চায় উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির এ মহাসচিব বলেন, ‘পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ উন্নয়নের সঙ্গে সুশাসন নিশ্চিত করতে পেরেছিলেন। বিএনপি উন্নয়নের নামে খাল কেটেছে, এখন আর তাদের সেই উন্নয়ন চোখে পড়ে না। আবার ৯১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজী, দখলবাজী ও দলবাজী শুরু করেছিল।‘

এসময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়ন করেছে বলে স্বীকার করেন বাবলু। তবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মানুষের শান্তি, স্বস্তি ও নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘ সময় একটানা ক্ষমতায় থেকে দৃশ্যমান অনেক উন্নয়ন করেছে। কিন্তু মানুষের শান্তি, স্বস্তি ও নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। নারী ও শিশুর সম্মান রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে।‘

অমুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, দলীয় চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা জহিরুল আলম রুবেল, ভাইস চেয়ারম্যান হুসেইন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, যুগ্ম মহাসচিব- বেলাল হোসেন, একেএম আশরাফুজ্জামান খান, জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. ইব্রাহিম খান জুয়েল, যুগ্ম মহাসচিব- ফখরুল আহসান শাহজাদা, ইকবাল হোসেন তাপস, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দিন, সৈয়দ মো. মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, হুমায়ুন খান, মিজানুর রহমান, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সুলতান মাহমুদ, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক ভূঁইয়া, এম.এ. রাজ্জাক খান, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মো, হেলাল উদ্দিন, মো. আক্তার দেওয়ান, এম.এ. সুবহান, যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, যুগ্ম সাহিত্য সম্পাদক ইব্রাহিম আজাদ, কেন্দ্রীয় সদস্য ও জাতীয় ওলামা পার্টির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সিদ্দিকী, আব্দুল আজিজ, মাহবুবুর রহমান খশরু, মোঃ আলমগীর হোসেন, জাহিদুর রহমান, শেখ মো. আবু ওহাব, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, ছাত্রনেতা শাহ ইমরান রিপন, রুহুল আমিন গাজী বিপ্লব, বাঘা ও মোড়ল জিয়াউর রহমান, জাতীয় ওলামা পার্টির হাফেজ আব্দুর রহিম উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/২৩অক্টোবর/ইএস