করোনায় মৃত্যু নেই ছয় বিভাগে

ফাইল ছবি

একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা ছিলেন ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা। তবে অবশিষ্ট ছয় বিভাগে করোনায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। করোনায় মৃত্যুশূন্য বিভাগগুলো হলো চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ। করোনায় মৃতদের সবাই ছিলেন চল্লিশোর্ধ্ব এবং সবার মৃত্যুই হাসপাতালে হয়েছে।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১১০টি ল্যাবে ১৪ হাজার ১১৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এসব পরীক্ষায় নতুন করে এক হাজার ৫৮৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হওয়ায় এই ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ৯৬ হাজার ৪১৩ জন দাঁড়াল। আর গত একদিনে মারা যাওয়া ১৪ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ হাজার ৭৬১ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে একই সময়ে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও এক হাজার ৫৩৩ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। তাদের নিয়ে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিন লাখ ১২ হাজার ৬৫ জনে।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ২৩ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৮ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

করোনায় নতুন করে মারা যাওয়া সবার বয়স ৪০ বছরের বেশি। মৃতদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ আর একজন নারী। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১২ জন এবং রাজশাহী বিভাগে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে গত ৮ মার্চ, তা সাড়ে তিন লাখ পেরিয়ে যায় ২১ সেপ্টেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই চার হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১০ অক্টোবর তা সাড়ে পাঁচ হাজারে দাঁড়ায়। এর মধ্যে ৩০ জুন একদিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

(ঢাকাটাইমস/২৩অক্টোবর/টিএটি/জেবি)