রাবি উপাচার্যসহ দুর্নীতিতে জড়িতদের অপসারণে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম

রাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ অক্টোবর ২০২০, ১৭:৩৮

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে দায়িত্বরত ভিসি আব্দুস সোবহানসহ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অন্যান্যদের অপসারণে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশন।

শুক্রবার বিকালে ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক অন্তু বিশ্বাসের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিবৃতিতে ছাত্র ফেডারেশনের রাবি শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আশরাফুল আলম সম্রাট বলেন, ‘প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অনিয়মের ঘটনা শুধু ক্যাস্পাসের ভাবমূর্তিই নষ্ট করেনা বরং পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়। আমরা দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের দুর্নীতির ও অনিয়মের তীব্র নিন্দা ও অপসারণের দাবি জানাই।’

সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন বলেন, ‘গত বছর বর্তমান প্রশাসনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়েছি। এসময় ছাত্র নেতৃবৃন্দের ওপর নানান চাপ তৈরি হলেও আমরা আন্দোলন থেকে পিছপা হই নি। এক পর্যায়ে প্রশাসনকে লাল কার্ড দেখিয়ে আচার্য বরাবর খোলা চিঠি পাঠাই এবং প্রশাসনের সমস্ত কার্যক্রমকে অবৈধ ঘোষণা করি। তখন ইউজিসি বা আচার্য কেউই আমাদের কথা শোনেন নি। দেরিতে হলেও দুর্নীতি ও অনিয়মের ঘটনাটি প্রমাণিত হলো। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই দুর্নীতিবাজরা স্বপদে বহাল আছে, যা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। আমরা ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সকল দুর্নীতিবাজের অপসারণ দাবি করছি।’

মহব্বত আরো বলেন, ‘দুর্নীতিবাজের জায়গায় যাতে আর কোন দুর্নীতিবাজ বসতে না পারে সেজন্য প্রশাসনের স্বৈরতান্ত্রিক কাঠামোকে ভেঙে ফেলতে হবে। রাকসু কার্যকর করে ছাত্র প্রতিনিধি দ্বারা সিনেট পূর্ণাঙ্গ করে সিনেট সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে ভিসি নির্বাচনসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম চালাতে হবে। সর্বোপরি ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক কাঠামো বিনির্মাণ করতে হবে।’

প্রসঙ্গত, গত বছর অক্টোবরে ভিসি আব্দুস সোবহান, প্রো-ভিসি চৌধুরী মো: জাকারিয়া ও রেজিস্ট্রার এম এ বারীসহ বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে ছাত্ররা আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন অপরাপর প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত করতে ধারাবাহিক এ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে। যা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তিতে ইউজিসি বিষয়টি আমলে নিলে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। সম্প্রতি তদন্ত কমিটির রিপোর্টে ভিসি, প্রো-ভিসি ও রেজিস্টারের দুর্নীতি ও অনিয়মের সত্যতা প্রামাণিত হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৩অক্টোবর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :