পানি নিষ্কাশনব্যবস্থা না থাকায় দুশ্চিন্তায় কৃষকরা

প্রকাশ | ২৩ অক্টোবর ২০২০, ২০:১৪

ফরমান শেখ, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল)

দীর্ঘস্থায়ী বন্যা পরবর্তী পানি নিষ্কাশনে বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে টাঙ্গাইলের নিম্নাঞ্চলের কয়েক হাজার একর কৃষি জমি। এতে হুমকিতে পড়েছে চাষাবাদ। তবে জেলা কৃষি বিভাগের কাছে এ ধরনের কোন তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলার খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আহসানুল বাসার।

টাঙ্গাইলে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দেখা গেছে, বন্যায় পানি নিম্নাঞ্চল তলিয়ে ডুবে রয়েছে কৃষি জমি। সবদিকেই শুধু পানি আর বন্যায় ভেসে আসা কচুরিপানা। আগাম শীতকালীন সবজি, সরিষা, আর বোরো ধানের বীজতলা সেখানে এখন করেছে আগাছা ও কচুরিপানা। কিন্তু পানি দ্রুত নেমে যাওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। তাই কৃষকরা দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন।

জানা গেছে, পাঁচ দফা বন্যায় টাঙ্গাইল সদর, বাসাইল, কালিহাতী, ভূঞাপুর ও নাগরপুরসহ ১১ উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা।

কৃষকরা জানান, জলাবদ্ধতা দীর্ঘস্থায়ী হলে ভয়াবহ হুমকিতে পড়বে এ অঞ্চলের চাষাবাদ। প্রভাব পড়বে সামাজিক জীবনেও। তাই দ্রুত সমাধান চান তারা।

বাসাইল উপজেলার স্থলবল্লা গ্রামের কৃষক মুবারক হোসেন বলেন, যে পানি আসছে তা চৈত্রমাসেও শুকানোর সম্ভাবনা নেই। এতে আমন, সরিষা, শসা চাষ করা গেল না। এছাড়া বন্যার পানিতে যে কচুরিপানা আসছে সে পানাগুলো কি দিয়ে সরাব এটা নিয়েই দুশ্চিন্তায় আছি।

একই এলাকা ওসমান জানান, পানি বের হওয়ার কোন জায়গা নেই- ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে চাষাবাদ করার কোন উপায় নেই। ইরি মৌসুমে যদি বীজ বোপন করতে না পারি, তাহলে এবার ধান আবাদ করা যাবে না।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলার খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আহসানুল বাসার জানান, গেল দুইবারের ভয়াবহ বন্যায় কিছুটা ক্ষতি হয়েছে ফসলের। তবে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনা দেয়ায় সে ক্ষতি থেকে পুষিয়ে উঠেছে। তারপরও রোপা আমনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। অন্য ফসলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তেমন প্রভাব পড়বে না।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, কয়েক দফার বন্যায় নদী ও খালে অতিরিক্ত পলি জমার কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৩অক্টোবর/এলএ)