বিএটির মুনাফা ৫ গুণ বাড়লেও কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব পাচ্ছে না সরকার
বাংলাদেশে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি গত ১০ বছরে তাদের উৎপাদন দ্বিগুণ করার পাশাপাশি ৫ গুণ বেশি মুনাফা লাভ করেছে। কিন্তু সিগারেটের চার স্তরবিশিষ্টি জটিল করকাঠামোর কারণে সরকার কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব পাচ্ছে না বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
শনিবার দুপুরে ৫১তম ইউনিয়ন ওর্য়াল্ড কনফারেন্স অন লাং হেলথে ‘ট্রায়ার বেজড ট্যাক্স সিস্টেম বেনিফিটেড ট্যোবাকো ইন্ডট্রিজ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ গবেষণাটি উপস্থাপন করেন যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি সুশান্ত সিনহা।
দ্য ইউনিয়নের আয়োজনে ২০ অক্টোবর শুরু হওয়া ৫ দিনের এ কনফারেন্স স্পেনে শুরু হয়েছে। করোনার কারণে এবারের কনফারেন্স ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বাংলাদেশে সিগারেটের বহুস্তর বিশিষ্ট করকাঠামোর জটিলতা বিষয়ক এ গবেষণা উপস্থাপন করতে গিয়ে সুশান্ত সিনহা বলেন, বাংলাদেশে সিগারেট উৎপাদনে এ জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটির ২০১৭-১৮ অর্থবছরে নানা কারণে ৩ শতাংশ উৎপাদন কম হয়। কিন্তু তারা ঠিকই তাদের মুনাফা তুলে নিয়েছে। কারণ উৎপাদন কম হলেও ওই বছর তাদের মুনাফা বেড়ে ২৮ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানিটির ২৪ হাজার ৭০১ মিলিয়ন স্টিক উৎপাদনের বিপরীতে মুনাফা ছিল ২ হাজার মিলিয়ন টাকা। যেটা ২০১৮ সালে ৫১ মিলিয়ন স্টিক উৎপাদনের পাশাপাশি মুনাফা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ১০ মিলিয়ন টাকা! যেটা সিগারেটে বহুস্তর বিশিষ্ট কর কাঠামোর কারণেই সম্ভব হয়েছে।
ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি বাংলাদেশের ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করেই এ গবেষণায় সম্পন্ন করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৪আগস্ট/জেআর/মোআ)