মাউশির মহাপরিচালকসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ | ২৬ অক্টোবর ২০২০, ১৪:২৭ | আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২০, ১৪:৩৩

বরিশাল ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

যথাযথ কারণ ছাড়া বরিশালের উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া মহেশচন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং এমএলএসএসকে বরখাস্ত করায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক ও বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়েছে।

রবিবার উজিরপুর সহকারী জজ আদালতে ওই মামলা দুটি করেন গুঠিয়া মহেশচন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুবুল আলম ও এমএলএসএস সমীর কৃষ্ণ মণ্ডল।

সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার আইনজীবী আজাদ রহমান।

এর মধ্যে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল ইসলাম ২৩ জনকে এবং এমএলএসএস সমীর কৃষ্ণ মণ্ডল ২৪ জনকে বিবাদী করে পৃথক দুটি মামলা করেন।

আইনজীবী আজাদ রহমান জানিয়েছেন, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক, বরিশাল জেলা শিক্ষা অফিসার, উজিরপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উজিরপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক, রূপালী ব্যাংক ভবানীপুর শাখার ম্যানেজার, উজিরপুর গুঠিয়া শাখার ম্যানেজার, অগ্রণী ব্যাংক বানারীপাড়া শাখার ম্যানেজার, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আওরঙ্গজেব, শিক্ষক সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল, বিথীকা মণ্ডল, অভিভাবক সদস্য মো. ইউসুফ আলী মোল্লা, মো. ছুরাত মোল্লা, মো. নাসির উদ্দিন খান, মো. নিজাম সরদার, শিরিন সরোয়ার, বিদ্যোৎসাহী সদস্য মো. আতাহার আলী হাওলাদার, সহকারী শিক্ষক মো. মোস্তফা কামাল, প্রধান শিক্ষক ও সম্পাদক ম্যানেজিং কমিটিসহ ৪৭ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

এমএলএসএস সমীর কৃষ্ণ মণ্ডলের মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালের ২৭ মে গুঠিয়া মহেশচন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্কুলে এমএলএসএস পদে যোগদান করে দায়িত্ব পালন শুরু করেন তিনি। কোনো কারণ ছাড়াই বিবাদীরা ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর ৯/২০২০ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১নং বিবাদী বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চাকরি বিধি ১৯৭৯ উপেক্ষা করে ২০২০ সালের ১৭ অক্টোবর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর ১নং বিবাদী সমীর কৃষ্ণ মণ্ডল কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।

প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুবুল ইসলামের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ সালের ২৮ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করে তিনি দায়িত্বরত ছিলেন। ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৫ অক্টোবর তাকে বেআইনিভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

তাছাড়া ২১ সেপ্টেম্বর ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নিজাম সরদার স্কুলের মালামাল কক্ষের চাবি প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে নিয়ে যান।

প্রধান শিক্ষক মামলায় উল্লেখ করেন, বিদ্যালয়ের মালামাল সংরক্ষিত রুমের চাবি নিয়ে যাওয়া এবং বিদ্যালয়ের নোটিশ বই, রেজুলেশন বই, ক্যাশবই, জব্দ করা ও নিয়ে যাওয়া হঠকারিতা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এর প্রতিকার ও স্বপদে বহাল থাকার দাবি জানানো হয় আদালতে।

(ঢাকাটাইমস/২৬অক্টোবর/কেআর/জেবি)