হৃদযন্ত্র থেকে মস্তিষ্ক, স্বাস্থ্যগুণে ভরা ইলিশ

ঢাকা টাইমস ডেস্ক
| আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২০, ১৫:২৩ | প্রকাশিত : ২৭ অক্টোবর ২০২০, ১৩:০১

জাতীয় মাছ ইলিশ পছন্দ করেন না এমন লোক অনেক কম। স্বাদের কারণেই বেশি পছন্দ ইলিশ। তবে স্বাদের পাশাপাশি ইলিশের স্বাস্থ্য উপকারিতা আপনাকে অবাক করবে। ইলিশে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, আয়রনসহ অজস্র পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। যা হৃদরোগ, স্নায়ু রোগসহ আরও অনেক রোগ প্রতিরোধ করে।

হৃদযন্ত্র থেকে মস্তিষ্ক, চোখ থেকে হাড়ের কাঠামো সবই মজবুত ও স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে ইলিশে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, জিঙ্কসহ বিভিন্ন উপাদান।

ইলিশ মাছের বৈজ্ঞানিক নাম তেনুয়ালোসা ইলিশা। এতে যথেষ্ট পরিমাণে থাকে পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ক্যানসার প্রতিরোধের পাশাপাশি ওজন স্বাভাবিক রাখতে যথেষ্ট সাহায্য করে। এতে থাকা হাই ডেনসিটি কোলেস্টেরল বা এইচডিএল যা আমাদের হৃদযন্ত্রের রক্তবাহী ধমনীকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। রক্ত চলাচল ভালো হলে হৃদযন্ত্র-ফুসফুসসহ শরীরের যাবতীয় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুস্থ থাকবে।

ইলিশের অসাধারণ স্বাদের মূলে আছে বেশ কয়েকটি মোনো ও পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড। এছাড়া ওলেইক, লেনোলেইক, লেনোলেনিয়িক, অ্যারাকআয়োডোনিক, ডকোসা-হেক্সায়োনিক অ্যাসিডসহ অত্যন্ত দরকারী উপাদান।

আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি মস্তিষ্কের নানা ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করতে সাহায্য করে মোনো ও পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড। এর ফলে মানসিক অবসাদ, অ্যাংজাইটি ও স্নায়ুর ক্ষয়জনিত নানা অসুখ প্রতিরোধ করতে কার্যকর ভূমিকা নেয়।

এই ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে বন্ধু কোলেস্টেরল এইচডিএলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন ও আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন এই দুই লাইফস্টাইল সংক্রান্ত রোগ প্রতিরোধ করতে নিয়মিত মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

বয়স্কদের ডিমেনশিয়া, পার্কিনসনস ও অ্যালঝাইমার্স ডিজিজ প্রতিরোধ করতে ইলিশ মাছে থাকা পলি-আনস্যাচুরেটেড ও মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড কিছুটা সাহায্য করে। আবার ক্যালসিয়াম, ফসফরাসের মতো উপাদান থাকায় হাড় মজবুত হয় বলে অস্টিওআর্থ্রাইটিসের মতো বাতের ব্যথার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

ক্রনিক কিডনির অসুখ বা অন্য কোনো জটিল শারীরিক সমস্যায় ইলিশ এড়িয়ে চলতে হবে। ইলিশ মাছ খেতে না পারলে অন্যান্য মাছ দৈনিক খেতে হবে। দৈনিক ৫০–১০০ গ্রাম মাছ খেলে ভালো হয়।

ঢাকা টাইমস/২৭অক্টোবর/একে

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :