ইরফানকে ৭ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ

প্রকাশ | ২৭ অক্টোবর ২০২০, ১৭:২০ | আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২০, ১৯:০০

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
সোমবার বাসায় অভিযানের পর ইরফান সেলিমকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইরফান সেলিমকে জিজ্ঞাসাবাসের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। সঙ্গে তার সহযোগী দীপু ও জাহিদেরও সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) আশফাক রাজীব হায়দার এই রিমান্ড আবেদন করেন। আগামীকাল বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে শুনানি হবে।

এদিকে মামলার অন্যতম আসামি হাজী সেলিমের প্রটোকল কর্মকর্তা এবি সিদ্দিক দিপুকে টাঙ্গাঈল থেকে গ্রেপ্তারের পর তাকে তিন দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

রবিবার রাতে ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও সোমবার ভোরে হাজী সেলিমের ছেলেসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওয়াসিফ।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ইরফানের গাড়ি ওয়াসিমকে ধাক্কা মারার পর নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিম সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামান এবং গাড়ির সামনে দাঁড়ান। নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে আসামিরা একসঙ্গে বলতে থাকেন, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবাহিনী বের করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বের করতেছি। তোকে এখনই মেরে ফেলব।’

এরপর বের হয়ে ওয়াসিমকে কিলঘুষি মারেন এবং তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন। তারা মারধর করে ওয়াসিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যান। তার স্ত্রী, স্থানীয় জনতা এবং পাশে ডিউটিরত ধানমন্ডির ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে উদ্ধার করে আনোয়ার খান মডেল হাসপাতালে নিয়ে যান।

এই ঘটনায় সোমবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহম্মেদ খান। সেই মামলায় এর আগে গাড়িচালক মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগের এই মামলায় সাংসদের ছেলেসহ চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়। তাদের মধ্যে এবি সিদ্দিক দিপুর নামও আছে। এছাড়া মামলাটির অন্য তিন আসামি হলেন হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম, মোহাম্মদ জাহিদ ও মিজানুর রহমান।

পরে সোমবার দুপুরে পুরান ঢাকার চকবাজারের দেবীদাস ঘাট লেন এলাকায় হাজী সেলিমের বাসায় অভিযান চালিয়ে ইরফানকে আটক করে র‌্যাব-১০। এ সময় তাকে ও তার দেহরক্ষী জাহিদুল ইসলামকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন র‌্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট। এরপর রাত একটার দিকে কারাগারে পাঠানো হয় সেলিমপুত্রকে।

(ঢাকাটাইমস/২৭অক্টোবর/জেবি)