ইরফানের সহযোগী দিপু তিন দিনের রিমান্ডে

প্রকাশ | ২৭ অক্টোবর ২০২০, ১৯:১০

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাতে মারধরের ঘটনায় সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের সহযোগী এ বি সিদ্দিক ওরফে দিপুর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে ধানমন্ডি থানার পুলিশ দিপুকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেয়।

রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান সরকারি কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু।

সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় দিপুকে। তিনি হাজি সেলিমের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার।

রবিবার রাতে ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও সোমবার ভোরে হাজী সেলিমের ছেলেসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওয়াসিফ।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ইরফানের গাড়ি ওয়াসিমকে ধাক্কা মারার পর নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিম সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামান এবং গাড়ির সামনে দাঁড়ান। নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে আসামিরা একসঙ্গে বলতে থাকেন, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবাহিনী বের করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বের করতেছি। তোকে এখনই মেরে ফেলব।’ এরপর বের হয়ে ওয়াসিমকে কিলঘুষি মারেন এবং তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন। তারা মারধর করে ওয়াসিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যান। তার স্ত্রী, স্থানীয় জনতা এবং পাশে ডিউটিরত ধানমন্ডির ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে উদ্ধার করে আনোয়ার খান মডেল হাসপাতালে নিয়ে যান।

এই ঘটনার পর সোমবার কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের বাড়িতে অভিযান চালায় র‌্যাব। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় ইয়াবা, অস্ত্র ও অবৈধ ওয়াকিটকি। পরে র‌্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট ইরফান সেলিমকে মাদক সেবনের দায়ে এক বছর এবং অবৈধভাবে ওয়াকিটকি ব্যবহার করায় ছয় মাস কারাদণ্ড দেন। এছাড়া ইরফানের দেহরক্ষী জাহিদুল ইসলামকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৭অক্টোবর/জেবি)