শিশুর শারীরিক-মানসিক গঠনে যেসব খাবার দরকার

প্রকাশ | ২৮ অক্টোবর ২০২০, ১৪:৪৬

আয়শা সিদ্দিকা

শিশুর প্রায় ৭০ ভাগ ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট হয় ৩ বছর বয়সের মধ্যেই। তাই এ সময়ে শিশু যদি সঠিক পুষ্টি না পায় তার মানসিক বিকাশ ব্যাহত হয়ে সারা জীবনের জন্য বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। একটু সামঞ্জস্য রেখে শিশুর প্রত্যহিক খাবার ঠিক করুন, আপনার সোনামনিকে দিন সঠিক বিকাশ।

 

ক্যালসিয়াম

 

মজবুত হাড় ও দাঁত, স্নায়ু ও পেশি তৈরিতে সাহায্য করে। খাদ্যকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে এবং রক্ত জমাট বাধায় সাহায্য করে। দুধ, দই, পনির ও পুডিং থেকে ক্যালসিয়াম পাবেন। এছাড়া শিশুর খাবার তৈরিতে পানির পরিবর্তে দুধ ব্যবহার করতে পারেন।

 

এসেনসিয়াল ফ্যাটি এসিড

 

কোষ ও স্নায়ু তৈরিতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পুষ্টি শোষণে শরীরকে সাহায্য করে। সয়াবিন তেল, বাদাম তেল, ডিম, কমলার রস ও সামুদ্রিক মাছ থেকে এসেনসিয়াল ফ্যাটি এসিডের চাহিদা পূরণ হবে।

 

আয়রন

 

রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে। আয়রনের অভাবে অ্যানেমিয়া দেখা দিতে পারে। মাংস, পালংশাক, কলিজা, লালশাক ও সিমের বিচি আয়রনের ভালো উৎস।

 

ম্যাগনেশিয়াম


হাড় মজবুত করে, হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বাদাম, সয়ামিল্ক, গম, কলা ও অ্যাভোকাডো থেকে ম্যাগনেশিয়াম চাহিদা পূরণ হবে।

 

পটাশিয়াম


শরীরে পানির ভারসাম্য রক্ষা করে। কিডনিতে পাথর ও ওস্টিওপোরোসিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়। টমেটো, কলা, কমলা, তরমুজ ও আলুতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে।

 

ভিটামিন এ

 

চোখের দৃষ্টি ভালো রাখে ও হাড়ের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ইনফেকশন থেকে শরীরকে রক্ষা করে। নখ, চামড়া ও চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। সবধরনের রঙিন শাক-সবজি, ছোটমাছ ও ফলমূল থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ পাওয়া যায়।

 

ভিটামিন সি

 

লোহিত রক্ত কনিকা, হাড় ও কোষের গঠন ও পুনরায় গঠনে সাহায্য করে। স্ট্রবেরী, লেবু, আঙ্গুর, আম, কাঁচা টমেটো, কলা, পেঁপে ও পেয়ারাতে ভিটামিন সি থাকে।

 

ভিটামিন ডি

 

শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণে ও হরমোন তৈরিতে সাহায্য করে। হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত করে। দই, সামুদ্রিক মাছ ও সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।

 

ভিটামিন ই

 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আঙ্গুর, আম, বাদাম ইত্যাদিতে ভিটামিন ই পাওয়া যায়।

 

জিংক

 

জিংক হজম, বিপাক ও বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয়। মুরগির বুকের মাংশ, মটরশুঁটি, দুধ, পনির, বিভিন্ন ধরনের বাদামে প্রচুর পরিমাণে জিংক পাওয়া যায়।

লেখক: পুষ্টিবিদ, জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল, ধানমন্ডি, ঢাকা

ঢাকাটাইমস/২৮অক্টোবর/এসকেএস