ব্লু’র জায়গায় গ্রিন এবং ধর্ষণ

এস, এম, শামীম
| আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২০, ১৬:০৩ | প্রকাশিত : ২৮ অক্টোবর ২০২০, ১৫:৪১

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হন্তদন্ত হয়ে একজন মহিলা এলেন শাহবাগ থানায় বললেন যে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। সাথে সাথে অফিসার ইনচার্জ আমাকে জানালে দ্রুত থানায় যাই। সাথে সাথে মহিলাকে সাথে দিয়েই একটা টিম পাঠাই মোতালেব প্লাজায় ধর্ষককে ধরার জন্য। কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই ধর্ষককে।

মহিলার অভিযোগ ছিলো যে তিনি মোবাইল কিনতে মোতালেব প্লাজায় গিয়েছিলেন, উনি ব্লু কালারের মোবাইল চেয়েছিলেন কিন্তু দোকানদার তাকে গ্রিন কালারের মোবাইল দিয়েছেন। রাস্তা থেকে মহিলা প্যাকেট খুলে বিরক্ত হয়ে দোকানদারকে ফোন করেন এটা পরিবর্তন করে ব্লু কালার দেয়ার জন্য। তখন দোকানদার কৌশলে তাকে (মহিলাকে) তার বাসায় নিয়ে যান।

মোবাইলের গুদামে নিয়ে যাচ্ছে বলে, সেখানে নিয়ে মোবাইল পরিবর্তন করার কথা বলে। ওখানেই নির্জন পরিবেশে জোর করে মহিলাকে ধর্ষণ করেন দোকানি।

একজন বিবাহিত মহিলা সাভার থেকে ঢাকায় মোবাইল কিনতে এসে হারালেন তার ইজ্জত। ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। নিশ্চিত করার জন্য মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।

পরবর্তিতে কথা বললাম দোকানির (ধর্ষক) সাথে এ বিষয়ে, মহিলার সাথে কথোপকথনের; মোবাইল রেকর্ডিং শুনলাম তার মোবাইল থেকে, মোতালেব প্লাজার সিসি ক্যামেরা চেক করলাম, মহিলা একটা হোটেলে বসেছিল সেই হোটেল কর্তৃপক্ষের সাথে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে সব শুনে এবং চেক করে মহিলার অভিযোগ মিথ্যা মনে হতে লাগলো।

মহিলার লোকেশন, টাইমিং, ফোনকল, রেকর্ডিং কোন কিছুই মিলছে না। তখন মহিলাকে সব কিছু দেখিয়ে বললাম, আপা আপনি যেভাবে বলছেন সেভাবে তো মিলছে না কোন কিছুই, আপনি নিজেই দেখেন। আর বললাম যে আমরা আপনার মেডিকেল টেস্ট করাবো আসলেই আপনি ধর্ষিত কিনা।

মুহূর্তের মধ্যে মহিলা বললো স্যার আমাকে মাফ করে দেন, আমি মিথ্যা বলেছি, আমাকে কেউ কোনো প্রকার ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টা করেনি। বললাম তাহলে কেনো মামলা দিতে এসেছেন। তখন উনি বললেন শখ করে ১৪,৫০০ টাকা দিয়ে মোবাইল কিনেছি, সাভার থেকে কষ্ট করে এসেছি। আমাকে ব্লু কালারের কথা বলে গ্রিন কালার কেনো দিলো। এতে আমার প্রচণ্ড রাগ হয়েছে। পরে উনাকে ফোন দিয়ে পরিবর্তনের কথা বললে দোকানি আমাকে এটাই ভালো মোবাইল বলে ফোন রেখে দিয়েছেন। তখন মেজাজ আরও খারাপ হয়েছে, কোন দিকে না তাকিয়ে সোজা থানায় এসেছি মামলা দিতে। যেহেতু ধর্ষণের শাস্তি বেশি তাই মিথ্যা মিথ্যা গল্প বানিয়ে ধর্ষণের কথা বলেছি।

দোকানির অপরাধ ব্লুর জায়গায় গ্রিন দেয়া আর হয়ে গেলেন ধর্ষক। এরকম সুযোগ দয়া করে কেউ নিয়ে মায়ের জাতির অপমান করার চেষ্টা করবেন না।

লেখক: এসি রমনা জোন, ডিএমপি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফেসবুক কর্নার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :