আইন নয়, প্রত্যাশা হোক ন্যায়ের পক্ষে থাকার

প্রকাশ | ২৮ অক্টোবর ২০২০, ১৬:৪৪

অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমেদ

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হিসেবে ৪৯ বছর বয়সী আইনের অধ্যাপক এমি কনি ব্যারেট শপথ নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রর প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ হোয়াইট হাউসের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে জনগণের উদ্দেশে বিচারক হয়ে তিনি বললেন ‘আমি আইনকে পলিসি থেকে রক্ষা করব।‘ আমি একজন পাবলিক পলিসির ছাত্র এবং ন্যায় গবেষক। রক্ষণশীল চিন্তার ধারক হিসেবে পরিচিত  অধ্যাপক জাস্টিস ব্যারেটের কথা আমাকে যেন গভীর ঘুম থেকে জাগিয়ে দিল।  দর্শনের ছাত্র হিসেবে নৈতিকতার কথা বলি, সমাজদর্শন পড়েছি বলে প্রথা, লোকাচার , লোকনীতি বুঝতে চেষ্টা করি। জাস্টিস আমার প্রিয় বিষয় বলে আইন নিয়েও কিছুটা ভাবি।  চেষ্টা করছি বটে কিন্তু সেগুলো খুব গভীরভাবে উপলব্ধি করেছি বা করতে পেরেছি বলে মনে হয় না। মনে অনেক প্রশ্ন জাগে। কিছু প্রশ্নর উত্তর পাই কিছু অজানা থেকে যায়। অনেক কিছু বুঝতে না পারলেও চেষ্টা করে যাই কারণ কথায় আছে ‘একবার না পারিলে দেখো শতবার।’

মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন: কী বোঝাতে চেয়েছেন জাস্টিস ব্যারেট এমন একটি সন্ধিক্ষণে এমন একটি উক্তি উচ্চারণ করে? যখন কি না সারা পৃথিবীর মানুষ একটি কঠিন সময়ে এক দুর্দান্ত ভাইরাস থেকে সৃষ্ট মহামারি মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে। তখন কি না জাস্টিস ব্যারেট নিয়োগ পাওয়াতে যুক্তরাষ্ট্রর অবহেলিত দরিদ্র কালো মানুষ শংকিত হচ্ছে। তাদের আশংকা ওবামা কেয়ার পলিসি কোর্টে বাতিল হয়ে যাবে যদি জাস্টিস ব্যারেট বিচারক হন। তিনি কি তবে ওবামা কেয়ার পলিসি বাতিল করবেন?

আমরা জানি, তিনি ডেমোক্রাটদের ব্যাপক সমালোচনা কাঁধে নিয়ে ৫২-৪৮ ভোট সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হয়েছেন। সুতরাং, বিচারক হয়ে শপথ নেয়ার পর সাত সন্তানের জননী কেন আইনকে পলিসি থেকে আলাদা রাখবেন বললেন তা গভীর চিন্তার বিষয়। 

আমরা জানি পলিসি মানে হলো সরকার ‘যা করে” বা ‘করে না’- সেটাকে বোঝায়। সুতরাং, আইন ও পলিসি যে ভিন্ন সেটা সাধারণ মানুষ বোঝে।  তদুপরি জাস্টিস ব্যারেট কেন বললেন আইনকে পলিসি থেকে রক্ষা করবেন গবেষক, সাধারণ নাগরিকসহ সকলেরই শংকা-নির্ঘাত তিনি এমন কিছু মিন করছেন যা হয়তো আগামীতে জানা যাবে।  

আইন কীভাবে আসে সে সম্পর্কে আমাদের কিছুটা ধারণা হয়েছে। সম্প্রতি যেমন আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ধর্ষণের শাস্তি নির্ধারণ করে অধ্যাদেশ জারি করেছেন।  এবং সেটি মন্ত্রিপরিষদ আইন হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে। এবং এটি সংসদে পাস হলে আইন চূড়ান্ত হবে। অনুরূপভাবে, সংসদ আইন করেছিল বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুপ্রিম কোর্ট সেই আইন বিলুপ্তি করে দিয়েছে। আমরা সরকারি কিছু দপ্তরকে আইন প্রয়োগ করতে দেখি। আমরা ভ্রাম্যমাণ বিচারককে সাংসদপুত্র ইরফানকে আইন অনুসারে জেলে পাঠাতে দেখলাম। আমরা আরও দেখলাম কীভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার অপরাধে হাজি সেলিম পরিবারের দাপট ও সম্মান শূন্যের কোঠায় নেমে গেল। সুতরাং আইন থাকা, না থাকা ও আইনের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে আমরা কিছুটা জানি। আইন এমন বিষয় যে, আদালতে আইন জানি না বললে কোনো মাফ নেই। আইন আসলে সরল কথায় কঠিন নিয়ম অনুসরণ। আর পলিসি হলো: করলেও হয় না করলেও হয়। 

আমরা জানি আইনের কিছু ফাঁক-ফোঁকরও আছে। আর তাই ক্রসফায়ারের নামে তাজা মানুষ হত্যা করা বৈধ হয়ে যায় আইনের ওই ফাঁকফোঁকরে। আইন আছে বলে একজন রাজনীতিবিদকে সমালোচনা করবার অপরাধে গভীর রাতে পুলিশ একজন মহিলা শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে। আবার সেই রাষ্ট্রের মহামান্য রাষ্ট্রপতি আক্ষেপ করেন বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের জন্য নাগরিকের সমালোচনায় কষ্ট পেয়ে। এখানে নাকি আইন নীরব দর্শক!

সেনা আইন ছিল বলেই বঙ্গবন্ধু  ডালিম গংদেরকে চাকরিচ্যুত করেছিলেন শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য। আইন না থাকলেও হ্যাঁ/না ভোট করে জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্ট হয়ে বৈধতা নিয়েছিলেন।  তিনি আইন করে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দিয়েছিলেন। আইনের এই সব বৈচিত্র্যময় চেহারা এবং পলিসির সঙ্গে এর পার্থক্য গোলমাল বাধিয়ে ধাঁধা লাগিয়ে দেয়।  কীভাবে এই গোলমাল থেকে বের হওয়া যায় বিচারকরা তার পথ দেখাতে পারেন। জানি না জাস্টিস ব্যারেট কীভাবে, কী দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি আইনকে পলিসি থেকে রক্ষা করবেন তা খোলাসা করে বললেননি। 

প্ৰশ্ন করা যেতে পারে -আইন কেন? সুবিচার করবার জন্য তো? তাহলে সুবিচার মানে কী? সুবিচার মানে এই -যে খুনিকে ছেড়ে দেয়া হবে অনুকম্পা করে?  সুবিচার মানে এই যে খুনি ডালিম -কর্নেল ফারুক আইন পরিষদের সদস্য হবে? আর যেখানে জীবন রক্ষা করা আইনের লক্ষ্য, সেখানে সাজা হিসেবে মৃতুদণ্ড দেয়া কি আইন হতে পারে? মৃতুদণ্ড অনেক দেশে আছে নিষিদ্ধ- সেই সব দেশ যুদ্ধের নামে একটি বোমা মেরে লক্ষ মানুষ মারে তাদের কাছে ‘আইন’ যে আসলে কী তা বোঝার বিষয়। জাস্টিস ব্যারেট আইন বলতে কী বোঝান তা তার বিচারকার্য থেকে আগামীতে জানা যাবে। হয়তো আইনের নতুন সংজ্ঞা আমরা পাবো তার বিচারকার্য থেকে। অপেক্ষার প্রহর গুণতে গুণতে আমরা ঘুমিয়ে যাবো হয়তো!

আমাদের রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে সব সময় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কথা শুনতে পাই। কিন্তু মাঝে মাঝে সেই সব কথা গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। আমরা দেখি উপরতলার মানুষরা আইনের সুযোগ যেন একটু বেশি পায়। আইন অনুসারে আগাম জামিন পেয়ে যান- কারণ উনারা দামি উকিল ভাড়া করতে পারেন। তখন মনে হয় আইন মানে অর্থ। আর তাই বুঝি কিছু মানুষ অর্থ কামাইতে অতুলনীয় হতে চেষ্টা করেন। অর্থের অভাবে আর একজন গরিব মানুষ একটি রায়ের জন্য দিনের পর দিন জেলে থাকতে থাকতে জীবন শেষ করে দেন। 

এইতো কদিন আগে জানা গেল কীভাবে বিনা বিচারে জাহালম দিনের পর দিন জেলে কাটিয়েছেন।  তার ক্ষমতা ছিল না হাইকোর্টে আপিল করবার।  তার কোনো আইনজীবী ছিল না যে একটি জামিন নিয়ে দেবে।  আইন তাই একটি ভীতিকর অবস্থা যা মানুষকে শৃঙ্খলিত করে রাখে।  মানুষের স্বাধীনতাকে কেড়ে নেয়।  আর তাই হাসতে হাসতে আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলেন - আমাদের বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যর্থ। এরকম সমালোচনা আমরা করতে পারি কি? মহামান্য রাষ্ট্রপতির কথার সূত্র ধরে ধরপাকড়াও করতে পুলিশ মাঠে নেমে পড়ে না বলে রক্ষা। আবার বিদেশে বসে কোনো ব্যক্তি কারো টেলিফোন কনভারসেশন প্রচার করলে ওই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন উল্লেখ করে সতর্ক বার্তা দেয়া হয়। তখন আমার জানতে ইচ্ছে করে - আইন আসলে কী? ক্ষমতাবানের জন্য আইন ও সাধারণের জন্য আইন ভিন্ন কি না?

কিছু মানুষ যাদের কোনো নৈতিক ভিত্তি নেই তারা যদি রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসে, যেমন জিয়াউর রহমান, কিছুকে আইন বলে চালিয়ে দেয় তাহলে সেটা কি আইন? নাকি আমাদের সমাজ দিনের পর দিন বিবেচনা করে রীতিনীতি হিসেবে মান্য করে এবং সেটি যদি আইন হয় কোনো বৈধ প্রতিষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তবে সেটি কোনো পলিসি দিয়ে না প্রয়োগ করা কি আইন? অবৈধ আইন দিয়ে মোস্তাক -জিয়া - সাত্তার -এরশাদ-খালেদা জিয়া  দিনের পর দিন খুনিদেরকে পুরস্কৃত করেছেন।  আইন তখন কোথায় ছিল জানি না।  যারা আইনের রক্ষক তারা কিছুই করেননি।

আইন অনেক কঠিন বিষয়।  আইনের ভেতর গাইন ঢুকলে খবর আছে। যেমন বাকস্বাধীনতার আইন আছে আবার ধর্ম নিয়ে কিছু বললে খবর আছে। সাম্প্রতিক বাংলাদেশে আইন ও অধিকার ভালোভাবে বিবেচনার চিন্তা না করে সরল বিশ্বাসে কথা বলে এজন্য শিক্ষকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে, আর আরেক শিক্ষার্থীর ছাত্রত্বও চলে গেছে। এক সময় আমরা ৭৪ এর কালো আইন নিয়ে কথা বলতে শুনেছি, এখন সেখানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন জায়গা পেয়েছে-এখন আইনের ফাঁকা থাকবার জো নেই ! সরকারের পলিসি হতে পারে এই আইনটির প্রয়োগকে স্থগিত রাখা। জাস্টিস ব্যারেট যদি এরকম হস্তক্ষেপকে বোঝাতে চান তার ঐতিহাসিক বক্তব্য দিয়ে তবে মানুষ খুশি হবে। কারণ এই আইনটি বাতিলের দাবি দিন দিন জোরালো হচ্ছে। জাস্টিস ব্যারেট যদি আইনকে রক্ষা করতে পলিসিকে উপেক্ষা করেন তবে মানুষ ক্ষুব্ধ হবে।  আইন অমান্য করবে।  সেটা কাম্য হতে পারে কি?

দেশ উন্নত হয়েছে, ভারতের থেকে উন্নত। আনন্দের সংবাদ। তবে উন্নত দেশে সমালোচনা করা গেলেও বাংলাদেশে সেটা খুবই সীমিত বললে দোষের হতে পারে!

আমরা আনন্দিত যে এখন আমাদের বিচারকরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অনেক বিষয় আমলে নিয়েছেন এবং বিচার করছেন। কিন্তু ভাবতে পারেন কি ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ এই ২১ বছর ওই দুঃসময়গুলোতে সেই আইনগত ক্ষমতা প্রয়োগ করতে কোনো বিচারক আসেননি। বরং সংসদে আইন পাস হবার পর বঙ্গবন্ধু হত্যার মামলা হলে বিচারক বিব্রত হয়ে জাতিকে হতভম্ব করেছেন। আইন বটে! বটেন!

আইন নাকি সকলের জন্য সমান। আইন নাকি রক্ষাকবচ। আইন বলে রাষ্ট্রর চোখে সকল নাগরিক সমান। এই যদি হয় আইনের ধারা তবে কেন সেখানে বৈষম্য? কেন একজনকে ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি দেয়া হবে? আর কেন একজন দিনের পর দিন ট্যাক্স গুণে যাবে ওই সব ব্যক্তির সকল বিলাসিতার খরচ বহন করতে?

বিচারের বাণী নীরবে কাঁদে- যেমনটি বাঙালি কেঁদেছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ২০০৯ সালের ৮ নভেম্বর পর্যন্ত।  

আজকাল প্রায় সতর্ক বার্তা পাচ্ছি।  আমি জোট সরকারের বিরুদ্ধে লড়েছি এবং এই সরকারকে নির্বাচিত করেছি আমার স্বাধীনতাকে পূর্ণাঙ্গ ভোগ করবার জন্য।  আমরা জাতির পিতার হত্যার বিচার চেয়েছি যেন আমাদের বিচারহীনতার জগতে বসবাস না করতে হয়।  কিন্তু সেখানে আবার একটু একটু ভয় জায়গা করে নিচ্ছে।  আমারই দলের মানুষ যাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধে লড়াই করেছি তারা যেন অচেনা হয়ে যাচ্ছেন! এখন ওই জোট সরকারের অনেকে দলে ভিড়ে গেছে এবং তাদের ইন্ধনে আমাদেরকে  ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। 

ছোট্টবেলায় এক কবির কাছে অটোগ্রাফ নিতে গিয়েছিলাম।  তিনি লিখেছিলেন- বঞ্চনার জীবন যেন না আসে।  কবিতালাপ গোষ্ঠীর ওই সমাবেশ আজও স্মৃতির মনিকোঠায় সঞ্চিত আছে।  বিগত ৩৯ বছর আমি জাস্টিস শব্দটার খুঁজছি।  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিস পেয়েছেন।  জাতির পিতার হত্যার বিচার ২১ বছর পর শুরু হয়ে শেষ হয়েছে।  সেই আশায় আমরা অনেকেই বুক বাঁধি। আমরাও একদিন বিচার পাবো!

জাস্টিস ব্যারেটকে যদি পেতাম তাকে প্রশ্ন করতাম: আপনার কাছে বিচার মানে কি? কেন আইনকে পলিসি থেকে দূরে রাখবেন? ন্যায়বিচারকে আইন দিয়ে প্রতিষ্ঠ না করা গেলে পলিসি দিয়ে কি করা যাবে কি? আপনার দেশে যে কালো মানুষগুলো আছে সেই কালো মানুষগুলোকে আপনার পূর্বপুরুষ নিয়ে গেছেন জোর করে- এটা ছিল তাদের পলিসি।  আর কিছু মানুষ গেছে লটারিতে- সেটাও একটি পলিসি।  কিছু মানুষ স্বাধীনতার জন্য আপনাদের দেশে গেছে। কিছু মানুষ তাদের মেধার জোরে গেছেন - যা একটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারি পলিসি। অথচ আপনার মনোয়নকারী প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্প তাদেরকে তাড়িয়ে দিতে চান- তাড়িয়ে দেয়ার আইন করতে চান।  আইন করে তাদের বাঁচার অধিকার কি ছিনিয়ে নেয়া যায় কি? আপনি কি সেই আইনের রক্ষক হবেন? আপনাকে স্বাগত জানাতে পারছিনা কেন জানিনা - তবে যদি পারতাম ভালো লাগতো। কারণ আমিতো ওই কালো মানুষদের একজন - যারা সাদাদের থেকে আলাদা। কালো দরিদ্রদের ভয়শূন্য পৃথিবী কোনোদিন হবে কি?- যদিও আপনার দেশে বর্ণবাদ নির্মূলের আইন আছে। আইন নয়, ন্যায়ের পক্ষে থাকবো-এটা হোক আমাদের প্রত্যাশা।

লেখক: শিক্ষক, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়