ইউপি চেয়ারম্যানের নাক ফাটালেন চায়ের দোকানি
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে সাতবারের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেরকে কার্যালয়ে ঢুকে নাক ফাটিয়ে দিয়েছে এক দোকানি। মদাতী ইউনিয়ন পরিষদের ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে ভর্তি করা হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ লোকজন নেছারের চায়ের দোকানে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
পরে খবর পেয়ে ইউএনও ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত নেছার উদ্দিনকে আটকসহ পরিস্থিতি শান্ত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, দোকানি নেছার উদ্দিনের সাথে তার ভাই ইয়াকুব আলীর দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে চলছিল। এই অবস্থায় ইয়াকুব আলী মদাতী ইউনিয়ন পরিষদে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দেন। পরে চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের এক শালিসে ইয়াকুব তার ভাইকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করবে মর্মে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। মঙ্গলবার ওই টাকা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে নেছার আলীকে দেওয়ার কথা থাকলেও ওই টাকা পরিশোধ করা হয়নি।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে বুধবার চেয়ারম্যানের কাছে টাকা দাবি করেন নেছার। এই অবস্থায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সবার সামনে চেয়ারম্যানকে ঘুষি মারতে শুরু করেন তিনি। এতে চেয়ারম্যানের নাক ফেটে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে চেয়ারম্যানের অসংখ্য সমর্থক সেখানে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে চামটাহাটে থাকা নেছার উদ্দিনের দোকানের ফ্রিজসহ সব আসবাবপত্র বাইরে বের করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে তার দোকানেও আগুন লাগানো হয়।
পরে কালীগঞ্জের ইউএনও রবিউল হাসান ও কালীগঞ্জ থানার ওসি আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি অভিযুক্ত নেছার উদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
কালীগঞ্জ থানার ওসি আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেন ঢাকাটাইমসকে জানান, এ ঘটনায় মামলার পর আটক নেছারকে আদালতে পাঠানো হয়।
(ঢাকাটাইমস/২৮অক্টোবর/এলএ)