হাসপাতালে রোগীদের জন্য ‘অগ্রিম ব্যবস্থাপত্র’

প্রকাশ | ২৯ অক্টোবর ২০২০, ০৮:৫৬ | আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২০, ১৪:৫৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সাধারণত হাসপাতালে রোগী ভর্তির পর রোগীর অবস্থা দেখে ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) দেন চিকিৎসক। কিন্তু হাসপাতালে রোগী ভর্তির পর, অপারেশনের আগে এবং রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়ার ক্ষেত্রে কি কি ওষুধ দিতে হবে এমন বেশ কয়েকটি অগ্রিম ব্যবস্থাপত্র দেয়ালে সাঁটানো অবস্থায় পাওয়া গেছে। বাদ যায়নি শিশুরাও। তাদের ক্ষেত্রেও এমন অগ্রিম অটো ব্যবস্থাপত্র দেখা মিলেছে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ক্রিসেন্ট হাসপাতালে। যা দিয়ে সবাইকে একই ধরনের চিকিৎসা দেয়া হতো।

বুধবার দিবাগত রাতে হাসপাতালটিতে র‍্যাবের একটি ভ্রাম্যামাণ আদালত পরিচালিত হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন র‍্যাবের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। অভিযানকালে হাসপাতালটির পুরুষ ওয়ার্ডের বিপরীতের একটি কক্ষের দেয়ালে চারটি অগ্রিম ব্যবস্থাপত্র সাঁটানো অবস্থায় পাওয়া যায়।

এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের জন্য অগ্রিম একটি ব্যবস্থাপত্র রয়েছে। শিশু রোগীদের জন্য রয়েছে আলাদা ব্যবস্থাপত্র।

এছাড়া হাসপাতালে আসা রোগীদের মধ্যে যাদের অপারেশন করা হবে তাদের জন্য সাঁটানো রয়েছে আলাদা অগ্রিম ব্যবস্থাপত্র। আবার রোগীদের ছাড়পত্র দেওয়ার সময় কি কি ওষুধ দিতে হবে সে অগ্রিম ব্যবস্থাপত্রও সাঁটানো রয়েছে হাসপাতালটি। আর প্রতিটি ব্যবস্থাপত্রেই উল্লেখ রয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এন্টিবায়োটিক ওষুধের নাম। এভাবেই হাসপাতালটিতে আগত রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

অভিযানে র‍্যাবের অভিযানে আটক করা হয় হাসপাতালটির মালিক আবুল হোসেনকে। উচ্চ মাধ্যমিক পাস আবুল হোসেন হাসপাতালটি পরিচালনা করতেন। এমনকি রোগীর এক্স-রে দেখে অপারেশনের সিদ্ধান্ত দিতেন তিনি নিজেই।

অপরাধ বিবেচনায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫২ ধারায় হাসপাতাল মালিককে এক বছরের কারাদণ্ড দেন অভিযান পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট।

ঢাকাটাইমস/২৯অক্টোবর/কারই/এমআর