ঘরের বউ হচ্ছে আসল শক্তি: আসিফ

প্রকাশ | ২৯ অক্টোবর ২০২০, ০৯:০৮

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
গায়ক আসিফ আকবরের সঙ্গে তার স্ত্রী

‘অনেক চিন্তা করে দেখলাম, ঘরের বউ হচ্ছে আসল শক্তি। এ সিদ্ধান্তে আসতে আমার একটা জীবন লেগে গেল। বাকি জীবনের নিরাপত্তার জন্য বেগমের সাথে মানিয়ে চলাটাই সেরা পদ্ধতি মনে হয়েছে। আমি একদিক থেকে সৌভাগ্যবান এই কারনে যে, ব্যাপারটার গুরূত্ব দ্রুত বুঝতে পেরেছি। আমার সমসাময়িক সবাই এখনো বউ প্রণীত সিলেবাসেই চলছে, সেই তুলনায় আমি যথেষ্ট বোহেমিয়ান চলনে সিঙ্গেল লাইফ উইথ বেগম টুগেদার।’

‘ইংরেজিটা ভুল হলে আমি মোটেও অনুতপ্ত হবো না, তবে কষ্ট পাবো মনের ভাবটা না বুঝলে। ইমিগ্রেশন ক্রস করা ইংরেজি আমার জানা আছে সেটাই যথেষ্ট। আমি তো রবিনসন ক্রুশোর মত একাকী কোনও আইল্যান্ডে অবস্থান করছি না, সঙ্গে বেগম আছে চিন্তা কী!! কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সভাপতি জনাব ওমর ফারুক সাহেবের একটা উক্তি আমার কাছে অমর হয়ে থাকবে। তিনি যথার্থই বলেছেন- ‘বিপদে পড়লে বউ ছাড়া কেউ পাশে থাকে না।’

‘ছাত্রজীবনে প্রেমে পড়া সবার একটা কমন অভ্যাস। কেউ পাত্তা দিলে দিতো, না দিলে সমস্যা নেই লেভেলে চলতে গিয়ে বাল্যবিবাহ করে ফেলেছি। গায়ক হবার পর তো প্রেমের পদ্মা মেঘনা যমুনাতেই ভেসে ছিলাম। বেগম সব বুঝতো, কারণ আমাকে এসব ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেই সত্যি বলে দিতাম, পরবর্তীতে আর ইন্টারেস্ট পায়নি। প্রেম ট্রেম নিয়ে এখন আর কোন কাহিনীই নেই। বেগমের কাছে যারা প্যাঁচ লাগায় তারা উল্টো বিপদে থাকে। এতো সময় পেরিয়ে এসে আমার জন্য কিছু মেয়েরা এখনো যে অস্থির হয়, সেটা সে এনজয় করে। যদিও এটা আমার উপর একধরনের চাপ। যাই হোক, এখন আর ওসব কাহিনী নেই, অন্তর্বর্তীকালীন আলাপ আলোচনায় পরিস্থিতি সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রনে।’

‘আসলে এগুলো আসল আলাপ নয়। মূল ব্যাপার হলো টাকাপয়সা। আমার জমানোর কিংবা লুকানোর অভ্যাস নাই, ব্যাংকের ক্যারিক্যাচারও নেই। অফিসে থাকলে খরচ হয়ে যায়, বাসায় আনলে রকমারি হিসাব অনুযায়ী নাই হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে সাধারণত আমি ক্যাশ টাকার অভাবে পড়ে যাই মাঝেমধ্যে। মাতৃঋণ শোধ হয় না মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে শুধু আম্মার কাছ থেকেই টাকা নিতাম। বেগমের কাছে টাকা চাইলে আকাশ থেকে পড়ে এজন্য চাই না।’

‘মেয়েদের কাছ থেকে লোন চাওয়া তো দূরের কথা, পাওনা টাকা চাইতে লজ্জ্বা করে। আজকে পকেট খালি থাকায় রাত ১১টায় বেগমকে বললাম, পাঁচ হাজার টাকা লাগবে অফিস খরচ বাবদ। আমার প্রয়োজনে চাইলে পুরান হিসাবে ফেলে দিয়ে ধানাইপানাই করতো। যেহেতু টাকাটা পেয়েছি তাই কৃতজ্ঞচিত্তে বেগমকে স্মরণ করে একটা ছবি তুললাম। আজকের দিনটা অনেক স্মৃতিময় হয়ে থাকবে। কুমার বিশ্বজিৎ দা’র গানটা আসলেই সলিড- ‘সংসার সুখের হয় রমনীর গুনে।’ আগে বুঝতাম না, এখন বুঝি।

এটি একটি উপলদ্ধিমূলক পোস্ট। কেউ সিরিয়াস হবেন না প্লিজ...

লেখক: আসিফ আকবর, কণ্ঠশিল্পী