মায়ের পরামর্শেই ক্রিকেট ছাড়েননি রশিদ
আফগানিস্তানের মত যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশে একটা সময় খেলাধুলা ছিল বিলাসিতার মত। সেই দেশটিই এখন বিশ্বের হাতেগোনা ১২টি টেস্ট দলের একটি। সেই দেশ থেকেই উঠে এসেছেন রশিদ খানর মত বিশ্ব কাঁপানো লেগ স্পিনার।
কাগজে-কলমে বয়স এখনো কম হলেও অভিজ্ঞতা আর পরিপক্কতায় ভরপুর রশিদ। আফগান অধিনায়ক চলতি আইপিএলে খেলছেন সানরাইজার্স হায়দরাদের হয়ে। আইপিএলের ডেরায় বসে প্রকাশ করা এক ভিডিও বার্তায় রশিদ জানিয়েছেন, মায়ের পরামর্শে কীভাবে তার ক্যারিয়ার থেমে যায়নি।
এশিয়ার দেশগুলোতে পরিবারকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে ক্রিকেটে আসা রীতিমত আরেক যুদ্ধ। রশিদকে অবশ্য সেই যুদ্ধ করতে হয়নি। বরং যখন অন্যরা ক্রিকেট ছেড়ে দিতে বলছিলেন, তখন মা-ই তাকে ক্রিকেট চালিয়ে যেতে বলেন। মুঠোফোনে দেওয়া মায়ের পরামর্শ মেনে রশিদ হাল ছাড়েননি।
রশিদ বলেন, ‘আফগানিস্তান ‘এ’ দলে ডাক পাই আমি। ক্যাম্পে থাকলেও একটি ম্যাচ খেলা হয়নি। এরপর আমাকে স্কোয়াড থেকেই বাদ দেওয়া হয়। আমি তখনই ক্রিকেট ছেড়ে দিতে চেয়েছিলাম। আমার ভাই তো রেগেমেগে আগুন! আমাকে বলল, এখন ক্রিকেট ছেড়ে পড়াশোনায় মন দে!’
পড়াশোনার কথা শুনলে অন্য মায়েরা খুশিই হন। ব্যতিক্রম ছিলেন রশিদের মা। তিনি ছেলেকে ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শই দিয়েছিলেন। রশিদ বলেন, ‘আমি মাকে ফোন করলাম। তিনি আমাকে বললেন, ক্রিকেট উপভোগ করে যাও। ফলাফল যাই হোক, চেষ্টা করতে থাকো। আজ না হোক, একদিন সফল হবে।’ মায়ের পরামর্শে ক্রিকেটে পড়ে থাকেন রশিদ। তিনি জানান, ‘একটি ঘরোয়া টুর্নামেন্টে ৩ ম্যাচে ২১ উেইকেট শিকার করি। এতে ২০১৫ সালে জাতীয় দলে ডাক পেয়ে যাই।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুন মাসে শারীরিক অসুস্থতায় ভোগে রশিদের রত্নগর্ভা মা মৃত্যবরণ করেন।
(ঢাকাটাইমস/২৯ অক্টোবর/এআইএ)