‘নোয়াখালীকাণ্ডে ওই নারীর স্বামীও জড়িত’

ফাইল ছবি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা ও বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় ওই নারীর স্বামীও জড়িত বলে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এএসপি, ওসিসহ সংশ্লিষ্ট কেউই দায় এড়াতে পারেন না।

বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি হাইকোর্টে জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি।

হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে (ভার্চুয়াল) এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে নিজ ঘরে ধর্ষণচেষ্টা ও বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় ফৌজদারি মামলার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট।

২৮ অক্টোবর ওই প্রতিবেদন জমা দিতে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেয়া হয়। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, আজ হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দেন তিনি।

গত ২ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার ৩২ দিন পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ৪ অক্টোবর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রাখে স্থানীয় বাদল ও তার সহযোগীরা। এরপর গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে তারা। এ সময় গৃহবধূ বাধা দিলে তাকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে তারা মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারণ করেন।

ওই ঘটনায় প্রতিবাদে সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।

(ঢাকাটাইমস/২৯অক্টোবর/কেআর)