আর কিছুকে ভয় করবো না: এস এম জাহাঙ্গীর

প্রকাশ | ২৯ অক্টোবর ২০২০, ১৫:৩৫ | আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২০, ১৬:০০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজনীতি করার কারণে নানা ঘাত প্রতিঘাত ও বঞ্চনার কথা তুলে ঢাকা-১৮’র উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেন, ‘আমরা আর কিছুকে ভয় করবো না।’

ভোটের দিনে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঠে না পাওয়ার অভিযোগ থাকলেও জাহাঙ্গীর ঘোষণা দিয়েছেন, যতই বাধা আসুক নির্বাচনের ফলাফল না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকবো।

বৃহস্পতিবার গণসংযোগকালে এ ঘোষণা দিয়ে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘জনগণের আস্থা হারিয়ে দিনের ভোট রাতে করা জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা প্রতিনিয়ত ধানের শীষের গণসংযোগে বাধা দিচ্ছে।’

বিএনপির প্রার্থী নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যতই বাধা আসুক আগামী ১২ নভেম্বর ফলাফল না হওয়া পর্যন্ত আমরা ভোট কেন্দ্রে থাকবো। বিজয়ই নিয়েই ঘরে ফিরব।

প্রতীক পাওয়ার পর গত ২৩ অক্টোবর জুমার নামাজ আদায় করে উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ১ নং সড়ক থেকে ধানের শীষের পক্ষে হাজার হাজার নেতাকর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেন বিএনপি প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।

আজও প্রচারণায় পথে পথে দলে দলে নেতাকর্মীরা গণসংযোগে যোগ দেন। এরপর কুড়িল বিশ্ব রোড, জোয়ার সাহারা, বসুন্ধরা গেইট হয়ে জগ্ননাথপুরে গণসংযোগের সমাপ্তি টানেন।

যদিও প্রার্থিতা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনার পর এই আসনের বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা এখনো প্রচারণায় নামেননি।

গত বুধবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে জাহাঙ্গীর বলেন, গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে আমাদের মিটিং ছিল। তারা বলেছে, আপনাদের নেতাকর্মীরা যখন ধানের শীষের ভোট চাইতে বের হয় তখন হাজার হাজার নেতাকর্মী গণসংযোগে বের হন। আরও বলেছেন, এলাকার রাস্তাঘাট ভালো না, এলাকার উন্নয়ন নেই, নেতাকর্মী কম করে নিয়েন। তখন আমি বলেছি, বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে এই এলাকার যত উন্নয়ন তিনি করেছেন। আর কেউ উন্নয়ন করেনি। তাই আমরা বিশ্বাস করি, আগামী ১২ নভেম্বর জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবেন। আর আমাদের নেতাকর্মীরা পোলিং এজেন্ট হিসেবে ভোট কেন্দ্রে থাকবেন, কেন্দ্রে থাকবেন। সকাল সকাল কেন্দ্রে যাব, রেজাল্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রে অবস্থান করবো।

গণসংযোগ থেকে ধানের শীষকে গণতন্ত্রের প্রতীক, ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার প্রতীক এবং ধর্ষণ, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধের প্রতীক উল্লেখ করে নানা শ্লোগান দেয় বিএনপি নেতাকর্মীরা।

তবে মূল সড়ক দিয়ে বিশাল শোডাউন হওয়ায় সড়কে যানজট তৈরি হয়।

জাহাঙ্গীর আক্ষেপ করে বলেন, আমরা চাকরি করতাম, ব্যবসা করতাম এখন তা পারি না-এসব কী আমরা ভুলে গেছি? ঘরে থাকতে পারি না, সন্তানের মুখ দেখতে পারি না-এসব আমরা যদি ভুলে না যাই তাহলে এর প্রতিবাদ আমরা করবো। আমরা আর কিছুকে ভয় করবো না।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিব হাসানের উদ্দেশ্যে ধানের শীষের প্রার্থী বলেন, আমরা যেখানে গণসংযোগের জন্য কর্মসূচি দেই, আপনারা সেখানে পাল্টা কর্মসূচি দেন। আপনাদের জনগণের উপর আস্থা নেই কেন, ভয় পান কেন? আপনারা জনগণের জন্য কাজ করেন না, জনগণের ভোট আপনাদের দরকার নেই। আপনারা (আওয়ামী লীগ) এ পর্যন্ত যতবার নির্বাচিত হয়েছেন রাতের আঁধারে ভোটবিহীন নির্বাচিত হয়েছেন। জনগণ ভোট দিতে পারে না। এ কারণে আপনারা সন্ত্রাস করছেন। বুঝাতে চাচ্ছেন, জনগণের ভোট আপনাদের দরকার নেই। কিন্তু আমরা বিএনপি, বেগম খালেদা জিয়ার কর্মী, তারেক রহমানের কর্মী। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। জনগণের ভোট বিএনপির দরকার আছে।

এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বিএনপি মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন, ছাত্রদলের সাবেক নেতা রাজীব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, মহানগর বিএনপি নেতা কাজী হযরত আলী, ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ফকরুদ্দিন রবিন, সাধারণ সম্পাদক গাজী রেজাউল হক রিয়াজসহ বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা গণসংযোগে অংশ নেন।

(ঢাকাটাইমস/২৯অক্টোবর/বিইউ/এমআর)