হল উদ্ধারের দাবিতে আবারও সরব জগন্নাথের শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ | ২৯ অক্টোবর ২০২০, ২১:০৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বেদখল হওয়া একাধিক আবাসিক হল উদ্ধারের দাবিতে আবারও মাঠে নেমেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। এর আগেও দুইবার জোরালো আন্দোলন হলেও শেষ পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
গত কয়েকদিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হল উদ্ধারের দাবিতে মাঠে নামার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। এজন্য বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনকেও সক্রিয় হওয়ার দাবি করেন ছাত্র-ছাত্রীরা।
২০০৫ সালে জগন্নাথ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হয়। কলেজ থাকাকালীন সময়ে জগন্নাথে হল ছিল ১২টি। কিন্তু ১৯৮৫ সালে স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে হলগুলো বেদখল হয়। শিক্ষার্থীদের বৃহৎ দুই আন্দোলনের পরও এসব হল উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

আবাসিক সংকটের কারণে ২০১৪ ও ২০১৬ সালে হল নিয়ে অন্দোলনে নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পুলিশের টিয়ার গ্যাস-রাবার বুলেটের নির্যাতন সহ্য করেও সফল হতে পারেননি তারা। অভিযোগ রয়েছে, হলগুলো প্রভাবশালী ও ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদের অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন। এরমধ্যে তিব্বত হলটি দখল করে ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজি সেলিম মার্কেট করেছেন বলে অভিযোগ আছে।  
সম্প্রতি হাজি সেলিমের ছেলে কাউন্সিলর ইরফান মো. সেলিম গ্রেপ্তার হওয়ার পর অনেকটা বেকায়দায় পড়েছেন ঢাকার এই আলোচিত সাংসদ। তার বিরুদ্ধে অনেকেই অভিযোগ করেছেন জমি দখলের। ইতিমধ্যে বেদখল হওয়া জমি উদ্ধার করেছে অগ্রণী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহমুদুল ইসলাম মিশু বলেন, আগামী এক যুগের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে নতুন ক্যাম্পাসের কথা বলা হচ্ছে সেখানেও হল পাওয়া আর রূপকথার গল্প দুটোই সমার্থক। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে হল তো দূরের কথা পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্লাসরুমই নেই। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেদখলে থাকা হলগুলো ফিরে পেতে চাই।

আরেক এক শিক্ষার্থী বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে হল হাজি সেলিম দখল করে রেখেছেন সেটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অবিলম্বে যেন উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়। যতদিন পর্যন্ত প্রশাসন বেদখলে থাকা হল উদ্ধারে ব্যবস্থা না নেবে ততদিন পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা মাঠে থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরুর প্রায় দেড় যুগেও কোনো হল না থাকায় পুরোপুরি অনাবাসিক বিশ^বিদ্যালয় ছিল জগন্নাথ। তবে অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে গত ২০ অক্টোবর ছাত্রীহল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে অনাবাসিক তকমামুক্ত হয়েছে বিশ^বিদ্যালয়টি।
(ঢাকাটাইমস/২৯অক্টোবর/বিইউ/ইএস)