ঘুষের অভিযোগে ঈশ্বরগঞ্জের ওসি প্রত্যাহার

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কাঁকনহাটি গ্রামের আসাদুজ্জামান লুলু নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে জোরপূর্বক ২০ হাজার টাকা ঘুষ আদায় করার অভিযোগে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান আকন্দকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্যদিকে ১৫০০ টাকা ঘুষ গ্রহণের দায়ে এমদাদ নামে এক কনস্টেবলকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান বলেন, অনিয়মের অভিযোগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে ওসিকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। কনস্টেবলকে করা হয়েছে সাময়িক বরখাস্ত।

এর আগে এ ঘটনায় ২৫ অক্টোবর আসাদুজ্জামান লুলু ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

উপজেলার ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নের কাঁকনহাটি গ্রামের আসাদুজ্জামান লুলু পৈত্রিক জমিতে পানের বরজ, ফলজ বাগান ও পুকুর খনন করে মাছ চাষ করে আসছিলেন। এ নিয়ে প্রতিবেশী নয়ন মিয়ার সঙ্গে বিরোধ ছিল। বিরোধের জের ধরে লুলুর বাড়িঘর ভাঙচুর ও হামলার পরিকল্পনা করে নয়ন মিয়া।

বিষয়টি জেনে আসাদুজ্জামান লুলু গত ২১ অক্টোবর ঘটনার বিচার চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। ওসি অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে আসাদুজ্জাসান লুলুকে থানা থেকে ফিরিয়ে দেন।

পরদিন নয়নসহ তার লোকজন হামলা চালিয়ে আসাদুজ্জামান লুলুর বাড়িঘর ভাঙচুর করে ও পানের বরজের ব্যাপক ক্ষতি করে। লুলুর ভাই আবু রায়হান রুমেল বাধা দিলে তাকেও মারধর করে হামলাকারীরা।

পরে আসাদুজ্জামান লুলু হামলার বিষয়টি ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মোখলেছুর রহমানকে জানালে তিনি ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা ছাড়া কাজ হবে না বলে জানালে বাধ্য হয়ে ১৭ হাজার টাকা দেন লুলু। কনস্টেবল এমদাদকেও ১৫০০ টাকা দেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/৩০অক্টোবর/কেএম)