লন্ডনের এমপি আফসানার বিরুদ্ধে হাউজিং প্রতারণার অভিযোগ
প্রকাশ | ৩০ অক্টোবর ২০২০, ১৯:৪৯
লন্ডনের বাঙালি অধ্যুষিত পপলার অ্যন্ড লাইমহাউস আসনের বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ এমপি আফসানা বেগমের বিরুদ্ধে হাউজিং ফ্রড বা আবাসন জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়, তিনি প্রভাব খাটিয়ে মাত্র ছয় মাসের ভেতর কাউন্সিল ফ্ল্যাট গ্রহণ করেছেন।
৩০ বছর বয়সী আফসানা বেগম টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের আইলস অফ ডগ এর মতো অভিজাত এলাকায় তিন লাখ পাউন্ড দামের ফ্ল্যাটটি গ্রহণ করেন। এ বিষয়ে ব্রিটেন থেকে প্রকাশিত দ্যা মেইল একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযোগের জবাব দিতে আগামী ১০ ডিসেম্বর তাকে আদালতে হাজির হতে হবে। আইনি প্রক্রিয়ায় তিনি হেরে গেলে তার পার্লামেন্ট মেম্বারশিপ চলে যেতে পারে। এমনকি জেল-জরিমানাও হতে পারে।
লেবার পার্টির সাবেক লিডার জেরেমি করবিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আফসানা বেগম ২০১১ সালে প্রথম কাউন্সিলের ঘরের জন্য আবেদন করেন। তখন তিনি তার বাবা-মার সঙ্গে একই কাউন্সিলের একটি বাড়িতে থাকতেন। ২০১৪ সালে তিনি বিয়ে করার পর বাবা-মার ঘর থেকে স্বামীর সঙ্গে চলে যান। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়ে গেলে তিনি ঘরের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষার তালিকায় থাকলেও মাত্র ছয় মাসের ভেতর ঘর পেয়ে যান।
যদিও বলা হয়েছে, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তার কোনো সন্তানও ছিল না। এর পরও তিনি কিভাবে অল্প সময়ে ঘর পেয়ে যান এমন প্রশ্ন উঠেছে।
আফসানা বেগম এর আগে বলেছেন, স্বাধীনভাবে নিরাপদে বেঁচে থাকার জন্য তার ঘরের প্রয়োজন ছিল। আফসানা নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখান করে বলেন, আইনজীবীর পরামর্শ ছাড়া এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারবেন না।
ইস্টলন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস বারার বাঙালি অধ্যুসিত পপলার অ্যান্ড লাইম হাউস আসন থেকে প্রথমবারের মতো লেবার দল থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করেন।
আফসানা বেগমের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ইস্টলন্ডনের হ্যামলেটস এলাকায় হলেও বাংলাদেশে তাদের আদি নিবাস বৃহত্তর সিলেটের সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের লুদরপুর গ্রামে। আফসানার বাবা মনির উদ্দিন আহমদও টাওয়ার হ্যামলেটসের কাউন্সিলের লেবার দলীয় কাউন্সিলর ছিলেন।
স্কুল জীবন থেকে আফসানা লেবার দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বাবার হাত ধরে তার রাজনীতিতে আসা। লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে ডিগ্রিধারী আফসানা বেগম এমপি হওয়ার আগে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলে হাউজিং বিভাগে চাকরি করেছেন।
এই আসনের সাবেক এমপি ও লেবার দলীয় মন্ত্রী জিম ফ্রিজ পেট্রিক রাজনীতি থেকে অবসরে গেলে আফসানা বেগম প্রথমবারের মতো লেবার দল থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তৃতীয় বাঙালি হিসেবে প্রবেশ করেন।
(ঢাকাটাইমস/৩০অক্টোবর/কেএম)