রেঞ্জ ও বিট অফিসারের বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩১ অক্টোবর ২০২০, ১৬:৫৬

ময়মনসিংহের ভালুকা রেঞ্জ ও হবিরাবাড়ি বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাহিদা অনুযায়ী ঘুষ না দেওয়ায় অবৈধভাবে সাড়ে ছয় হাজার ফলজ গাছের চারা কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার এ গাছ কাটার ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ব্যবসায়ী রেজাউল করিম রিয়াজ ও রিপন মিয়া ঝালপাজা মৌজায় ১০.৬৮ একর জমি ক্রয় করেন। জমি ক্রয়ের পর মালিকপক্ষ জানতে পারেন ২০৭ ও ২০৮ নং দাগ দুটি বন বিজ্ঞপ্তিভুক্ত। সেই প্রেক্ষিতে জমি ক্রেতারা ফরেস্ট সেটেলম্যান্ট অফিসার বরাবর দুটি মিস মোকদ্দমা দায়ের করেন। পরে ফরেস্ট সেটেলম্যান্ট অফিস রেজাউল করিম রিয়াজ গ্যংদের পক্ষে রায় দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে বনবিভাগ আপিল করে। পরে গত ৫ অক্টোবর ওই আদালত রেজাউল করিম রিয়াজ গ্যংদের পক্ষে ৯.৯৮ একর জমি অবমুক্ত করে রায় দেয়।

গত চার মাস আগে জমির মালিকরা ওই জমিতে মাল্টা, কমলা ও লেবুর চারা রোপণ করে স্পাইডার অ্যাগ্রো প্রজেক্ট শুরু করেন। ঠিক ওই সময় ভালুকা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ও হবিরবাড়ি বিট কর্মকর্তা দেওয়ান আলী তার লোকজন নিয়ে চারা রোপণ কাজে বাধা দেন। পরে কোম্পানির প্রতিনিধি রাসেলের কাছে বন কর্মকর্তা দেওয়ান আলী ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরে কোম্পানির পক্ষে রাসেল মিয়া তাকে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দেন এবং বাকী পাঁচ লাখ টাকা ৪/৫ মাস পর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু কয়েকদিন যাবত বন কর্মকর্তারা বাকি পাঁচ লাখ টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। এদিকে মালিকরা আদালতের রায়ের কপি পাওয়ায় টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

রাসেল মিয়া বলেন, ‘আদালত আমাদের পক্ষে রায় দেওয়ার পরও বন কর্মকর্তাদের বাকী পাঁচ লাখ টাকা না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে দলবল নিয়ে এসে আমাদের সাড়ে ছয় হাজার চারা কুপিয়ে কেটে ফেলে। এতে আমাদের ৩৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’

তবে ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে দেওয়ান আলী বলেন, ‘আমরা বিভাগীয় কমিশনার বরাবর মিস কেইস দুটি আপিল করেছি। দাগ দুটি বনের গেজেটভুক্ত, সেই জমি আমরা উদ্ধার করেছি।’

(ঢাকাটাইমস/৩১অক্টোবর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :