আবারও কর্মবিরতিতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

প্রকাশ | ৩১ অক্টোবর ২০২০, ১৯:১৫ | আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২০, ২১:২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

তিন দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা। শনিবার দুপুর ২টা থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করে তারা।

এর আগে হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-৪ এর সহকারী রেজিস্টার মাসুদ খানের অনৈতিক ও হীন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক পরিচালক বরাবর স্মারকলিপি ও কর্মবিরতির চিঠি দেওয়া হয়।

ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সজল পান্ডে ও সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তারা গনমাধ্যমে আলাদাভাবে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

তাদের দাবিগুলো হলো- ডাঃ মাসুদ খান কর্তৃক দায়েরকৃত প্রহসনমূলক মিথ্যা মামলা ও বিভিন্ন মাধ্যমে হয়রানি অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করা, ডাঃ মাসুদ খানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সুষ্ঠু বিচার করা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রচার করা অসত্যের জন্য মানহানির বিচার করা।

এর আগে গত ২১ অক্টোবর মেডিসিন ইউনিট-৪ এর রেজিস্টার মাসুদ খান সভাপতি সজল পান্ডে এবং সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে আরো ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে তার ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ এনে পরিচালক বরাবর অভিযোগ করেন। পরদিন মেডিকেলের সামনে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কমিশন নেয়ার অভিযোগে ডাঃ মাসুদ খানের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা।

এই ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। সবশেষ ৩০ অক্টোবর মাসুদ খান কোতোয়ালি থানায় ওই চিকিৎসকদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলার খবর পেয়ে ২৯ অক্টোবর রাত ১২টার দিকে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করে এবং আড়াই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করে। এরই ধারাবাহিকতায় সেসময় তোলা দাবিগুলো না বাস্তবায়ন হওয়ায় তারা ঘোষণা দিয়ে শনিবারের এ কর্মবিরতি শুরু করে।

এই বিষয়ে কথা বলতে মাসুদ খানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

হাসপাতালের পরিচালক বাকির হোসেন জানান, দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসা হয়েছিল। কিন্তু কোনো পক্ষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে ছাড় দিতে রাজি না হওয়ায় সমঝোতা হয়নি। তবে সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান পরিচালক।

প্রসঙ্গত, বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় দেড়শ শিক্ষানবিশ চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন। তাদের কর্মবিরতিতে বেশ ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে সাধারণ রোগীরা।

(ঢাকাটাইমস/৩১অক্টোবর/পিএল)