চিতলমারীতে সবজির দাম চড়া, মানুষের দুর্ভোগ

বিভাষ দাস, চিতলমারী (বাগেরহাট)
| আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২০, ১৬:৫৫ | প্রকাশিত : ০২ নভেম্বর ২০২০, ১৬:৪০

বাগেরহাটের চিতলমারীতে প্রতি হাটে পেঁয়াজ, আলু, কাঁচামরিচসহ সব ধরনের সবজির মূল্য বৃদ্ধিতে দিশেহারা নিম্ন আয়ের মানুষ। মহামারি কোভিড-১৯ এর কবলে পড়ে তারা কাজ হারিয়েছেন। অনেকে বেকার জীবন যাপন করছেন।

মহামারি পরিস্থিতির আগে যারা সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিন আয় করতেন তারা এখন দুই-তিন দিন কোনো রকমে কাজ করেন। কাজ করে যে টাকা পান তা দিয়ে সংসার চালাতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। নিয়ন্ত্রণহীন সবজির বাজারে গিয়ে তাদের নাভিশ্বাস ওঠে।

উপজেলার বিভিন্ন সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি আলু ৪৫ টাকা, পটল ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, রসুন ১০০ টাকা, পেঁয়াজ ৮৫ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, কচুরমুখি ৫০ টাকা, কচু ৫০ টাকা, ফুলকপি ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, প্রতিহালি কাঁচাকলা ৫০ টাকা, বিচিকলা ৩০ টাকা, প্রতিটি লাউ ৩০ থেকে ৬০ টাকা, চালকুমড়া ৪০ টাকা এবং পেঁপে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

নিম্ন আয়ের মানুষেরা সবজির দাম শুনেই অনেকে ফিরে যায়। দায়ে পড়ে কেনাকাটা করলেও অনেকের আগের মতো আর ব্যাগ ভরেনা। এমনটাই বলছিলেন কাঁচা বাজার করতে আসা খলিশাখালী গ্রামের শান্তি রঞ্জন মন্ডল।

বাজার করতে আসা দিনমজুর হান্নান বিশ্বাস বলেন, করোনা ভাইরাস আসার আগে পুরো সপ্তাহ কাজ করতাম, এখন অপরিচিত কেউ কাজ করাতে চায় না। সপ্তাহে দুই-তিন দিন কাজ করে যে টাকা পাই তা নিয়ে বাজারে এলে আর ব্যাগ ভরে না।

চিতলমারী সদর বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মাসুদ মোল্লা, তায়ফুল শেখ ও অহিদ মোল্লা জানান, খুলনার কেনা মোকাম খুবই চড়া হওয়ায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আবার দাম বেশির কারণে মানুষ কম কিনছে। ফলে অনেক সময় সবজি অবিক্রি থেকে যায়।

চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফুল আলম বলেন, ব্যবসায়ীরা যাতে কোনো রকম অসৎ পন্থা অবলম্বন করতে না-পারে তার জন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। শীতকালীন সবজি বাজারে আসা শুরু করেছে। কিছু দিনের মধ্যে এ সমস্যা দূর হবে।

(ঢাকাটাইমস/২নভেম্বর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :