মুন্সীগঞ্জের সরকারি নার্সারিগুলোতে জনবল সংকট

আরাফাত রায়হান সাকিব, মুন্সীগঞ্জ
 | প্রকাশিত : ০৪ নভেম্বর ২০২০, ১৩:২৩

জনবল সংকটে মুন্সীগঞ্জে বনবিভাগের সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির নার্সারিগুলোর কার‌্যক্রম চলছে খুঁড়িয়ে। বর্তমানে নার্সারিগুলোার মোট জনবলের প্রায় অর্ধেক পদই শূন্য রয়েছে। ফলে নার্সারিগুলোতে যারা কর্মরত আছেন, তাদের বাধ্য হয়ে বাড়তি কাজ করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা।

জেলা সামাজিক বনায়ন কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি উপজেলার নার্সারিকেন্দ্রগুলোতে একজন ফরেস্টার, দুইজন বাগান-মালিকের পদ থাকলেও মুন্সীগঞ্জে পাঁচটি উপজেলায় কোনটিতেই সবগুলো পদের জনবল নেই। আর সদর উপজেলায় থাকা জেলা কার্যালয়েও দুইটি পদ শূন্য। এতে একদিকে ব্যাহত হচ্ছে সরকারি বনায়ন কার্যক্রম, অন্যদিকে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে সরকারি নার্সারিগুলো। এছাড়াও এর ফলে গ্রাহকরা পাচ্ছেনা কাঙ্খিত সুবিধা। আর গাছ বিক্রি কম হওয়ায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

সূত্রে আরও জানায়, জেলার গজারিয়া উপজেলায় বর্তমানে ফরেস্টার পদের একজন আছে, তবে দুইজন বাগান মালিকের মধ্যে একজন নেই, টঙ্গীবাড়ীতে একজন ফরেস্টার থাকলেও নেই কোন বাগান মালিক, লৌহজংয়ে ফরেস্টার নেই, আছেন শুধুমাত্র একজন বাগান মালিক, শ্রীনগরে একজন ফরেস্টার আর দুইজনের মধ্যে আছেন একজন বাগান মালিক। অর্থাৎ পাঁচ উপজেলার ১৫টি পদের মধ্যে অর্ধেক পদই শূন্য রয়েছে। আর সদর উপজেলার জেলা কার্যালয়ে একজন বন কর্মকর্তা, একজন বনপ্রহরী, চারজন বাগান মালিক আছেন, তবে ফরেস্টার পদের একজন ও কর্মচারী পদের একজন নেই।

জনবল না থাকায় রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেহাল অবস্থা এসব নার্সারিগুলোর। এর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা লৌহজং সরকারি নার্সারিকেন্দ্রটির।

২০০৪-২০০৫ সালে সরকারিভাবে ৪০ শতাংশ জমিতে নার্সারিটির যাত্রা শুরু হলেও এর মধ্যেই বন্দোবস্ত সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। নতুন করে ভূমি অফিস থেকে দেওয়া হচ্ছে না বন্দোবস্ত। ৪০ শতাংশের অধিকাংশই এখন বেদখলে চলে গেছে। বন্দোবস্ত না থাকায় বেদখলকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারছে না বনবিভাগ। কোন ফরেস্টার না থাকা এ নার্সারির একমাত্র বাগান মালিক অরুণ মিয়া অবসরে চলে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে, পাঁচটি উপজেলায় বনবিভাগের কোনটিই স্থানীয় জায়গায় উপর করা হয়নি। উপজেলা পরিষদ থেকে জায়গা অস্থায়ী বরাদ্দ নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এতে সুষ্ঠু-সুন্দর ও পরিকল্পিতভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে তৈরি হচ্ছে প্রতিবন্ধকতা।

এ বিষয়ে সামাজিক বনায়নকেন্দ্র মুন্সীগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, ‘অনেকে অবসরে চলে যাচ্ছেন। তাছাড়া সারাদেশেই বনায়ন কর্মসূচির জনবল সংকট রয়েছে। নতুন নিয়োগ পেলে সংকট নিরসন হবে। আমাদের সব উপজেলায় জায়গাগুলো উপজেলা পরিষদের অনুদানের। তারা যেকোন প্রয়োজনে এটি নিয়ে নিতে পারে। তবে আমাদের পরিকল্পনা চলছে, জেলার প্রতি উপজেলায় ৫০ শতাংশ জমির উপর স্থায়ীভাবে নার্সারিকেন্দ্র করা। এবং এর পক্রিয়া চলছে।’

তিনি জানান, জনবল কম থাকায় যারা আছেন, তাদের নিয়মিত কার্যক্রমের বাইরেও বাড়তি কাজ করতে হচ্ছে। এবছর ৭০ হাজার চারা গাছের বরাদ্দ এসেছে। আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে বরাদ্দকৃত চারার বড় একটি অংশ জেলা কার্যালয়ে রেখে প্রতি উপজেলায় ১০টি করে চারা পৌঁছে দেওয়া হবে। সরকারি এসব গাছ নয় টাকায় কিনতে পারবে গ্রাহকরা।

(ঢাকাটাইমস/৪নভেম্বর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :