ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে তিনজন কারাগারে
ঠাকুরগাঁওয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ এবং আপোস মীমাংসার নামে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের বরুনাগাঁও বিহারীপাড়া গ্রামের জারিফ কায়সার বাপ্পি, একই গ্রামের কুরবান আলী ও শহরের টিকাপাড়া মহল্লার গোপাল।
এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর বাবা ঠাকুরগাঁও সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। মামলায় গ্রেপ্তারকৃতদেরসহ মামুন ও বাবু নামে আরও দুইজনকে আসামি করা হয়।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম জানান, ওই স্কুলছাত্রী বরুনাগাঁও বিহারীপাড়া গ্রামে ঘুরতে এসে প্রতিবেশী জারিফ কায়সার ওরফে বাপ্পির সঙ্গে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সুযোগে বাপ্পি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে এক বান্ধবীর মুঠোফোনে বাপ্পির সঙ্গে তার কথা হয় বাইরে ঘুরতে যাওয়ার বিষয়ে। এ সুযোগে স্কুলছাত্রীকে ফুসলিয়ে বাপ্পি শহরের পূর্ব গোয়ালপাড়া এলাকায় তার ভাবি নূপুর আক্তারের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানেও বাপ্পি একাধিকবার ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনার পর বিষয়টি মীমাংসার জন্য প্রতিবেশী কুরবান আলী, গোলাপ, মামুন ও বাবু মিলে ওই স্কুলছাত্রী এবং বাপ্পিকে নিয়ে আকচা ইউনিয়নের পল্টন এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে জনৈক মকবুলের গ্যারেজে বসে আপোস মীমাংসার নামে ওই স্কুলছাত্রীকে তারা চাপ প্রয়োগ করে। এসময় মীমাংসা না হওয়ায় তারা কৌশলে বাপ্পিকে সরিয়ে দেয়। পরে স্কুলছাত্রী বাড়ি ফিরে বিষয়টি তার পরিবারের লোকজনকে জানায়। স্থানীয় লোকজন কুরবান ও গোলাপকে আটক করে ৯৯৯ -এ কল দিয়ে খবর দেয়। ওই সময় মামলার অন্য দুই আসামি মামুন ও বাবু পালিয়ে যায়।
ওসি আরও জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে কুরবান ও গোপালকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার সকালে মামলার প্রধান আসামি বাপ্পিকে শহরের শিল্পকলা একাডেমির সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/৪নভেম্বর/পিএল)