রংপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ: সেই এএসআই ৫ দিনের রিমান্ডে
রংপুরে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এএসআই রায়হানুল ইসলামসহ দুই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তাদের মধ্যে রায়হানুলের পাঁচদিন ও অন্য দুই নারীকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্তী শুনানি শেষে তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তিন দিন করে যাদের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে তারা হলেন সুমাইয়া আক্তার মেঘলা ওরফে আলেয়া এবং সুরভি আক্তার ওরফে সমাপ্তি।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর বিকালে অভিযুক্ত রায়হানুলকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানালে বিচারক শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন। এছাড়া এই দুই নারীকেও আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন। তিনি বলেন, অধিকতর তদন্তের স্বার্থে আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়। বিচারক এএসআই রায়হানুল ইসলামের পাঁচদিন এবং দুই নারীর তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
মামলায় গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামি বাবুল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ গত ২৮ অক্টোবর দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
রংপুর মহানগর পুলিশের হারাগাছ থানাধীন ময়নাকুঠি কচুটারি এলাকার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন মহানগর ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলাম। পরিচয়ের সময় রায়হানুল তার ডাক নাম রাজু বলে জানান ওই ছাত্রীকে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলাম ওরফে রাজু হারাগাছ থানায় কর্মরত অবস্থায় ময়নাকুঠি কচুটারী এলাকার ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে তাকে মেঘনার ভাড়া বাড়িতে নিয়ে এসে নিজে ধর্ষণের পর সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়।
২৬ অক্টোবর মামলার পর ওই ছাত্রীকে চিকিৎসা এবং প্রয়োজনীয় ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে নেয়া হয়। এছাড়াও এএসআই রায়হানুলকে আটক এবং সাময়িক বরখাস্ত করে হেফাজতে নেয় মেট্রোপলিটন পুলিশ। মঙ্গলবার চিকিৎসা শেষে নির্যাতিতা ছাত্রীকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
ঢাকাটাইমস/৪নভেম্বর/এমআর