ইলিশ ধরতে সাগরপানে ছুটছেন জেলেরা

প্রকাশ | ০৫ নভেম্বর ২০২০, ০৮:৩৭ | আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২০, ০৮:৩৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ইলিশ মাছ ধরতে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় অলস সময় কেটেছে জেলেদের। তিন সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয় গতকাল মধ্যরাতে। ফলে স্বস্তি ফিরে আসা উপকূলীয় জেলাগুলোর জেলেরা পুরোদমে ইলিশ আহরণে সাগরপানে ছুটে গেছেন। শত-শত নৌকায় হাজার-হাজার জেলে ছুটছেন নদী-সাগরে। এতে কয়েকদিন ধরে প্রাণহীন থাকা জেলে পল্লীগুলোতে আবার প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। জেলে পল্লীগুলোতে বইছে আনন্দের জোয়ার, জেলেদের মুখে ফুটছে হাসি।

ভোরে লক্ষ্মীপুর সদর, রামগতি, কমলনগর ও রায়পুর উপজেলার মেঘনাপাড়ে খোঁজ-খবর নিয়ে এমনটাই জানা গেছে।

স্থানীয় জেলেরা জানান, নিষেধাজ্ঞা থাকায় ২২ দিন ইলিশ মাছ শিকার থেকে বিরত ছিলেন। শুধু মাছ ধরাই একমাত্র পেশা হওয়ায় এ দিনগুলোতে অলস সময় পার করতে হয়েছে তাদের। ধার-দেনা করে সংসার চলেছে। ফের মাছ ধরা শুরু হয়েছে; আশা করি প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে।

ইলিশের প্রজনন মৌসুম নির্বিঘ্ন রাখতে সরকারের দেয়া ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হয় গতরাত ১২টায়। এরপর থেকে নতুন উদ্যমে ইলিশ শিকারে জেলে পল্লীসহ মৎস্যবন্দরগুলোতে বাড়ে কর্মচাঞ্চল্য। জাল ও নৌকা মেরামতের টুকটাক কাজ সেরে নিয়ে সাগরের দিকে বের হন জেলেরা।

নদীগুলোতে প্রজননের জন্য আসা মা ইলিশ রক্ষায় ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ শিকার নিষিদ্ধ ছিল। গত কয়েক বছর ধরে ইলিশ মাছের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে সরকার। এ সময় সরকারের পক্ষ থেকে জেলেদের বিভিন্নভাবে প্রণোদনা দেয়া হয়।

এ সময় ইলিশ মাছ ধরা, বিক্রি, বিপণন, মজুত ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে সরকার। বিধি লঙ্ঘন করা হলে জরিমানা ও কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

এই অবরোধের বিষয়ে ইলিশ গবেষকরা বলছেন, ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে, মা ইলিশ রক্ষা করা। যাতে তারা নিরাপদে নদীতে ডিম ছাড়তে পারে। এই ডিম রক্ষা করতে পারলে তা নিষিক্ত হয়ে জাটকার জন্ম হবে। সেই জাটকা রক্ষা করা গেলে দেশে ইলিশের উৎপাদন অনেক বাড়বে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আশা করা হচ্ছে এবার যে পরিমাণ ডিম মা ইলিশ ছেড়েছে তার মাত্র ১০ শতাংশ জাটকা হলেই উৎপাদন হবে বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশি।

এদিকে, নিষেধাজ্ঞার সময়ে পদ্মা-মেঘনাসহ বিভিন্ন নদীতে নিয়মিত অভিযান চালিয়েছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন থেকে গঠিত একটি টাস্কফোর্স।

ঢাকাটাইমস/৫নভেম্বর/এমআর