পদ্মা সেতুর ৩৬তম স্প্যান বসানোর প্রস্তুতি চলছে

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২০, ১২:৩৭ | প্রকাশিত : ০৫ নভেম্বর ২০২০, ১২:০৮

পদ্মা সেতুর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ২ ও ৩ নং পিয়ারে ৩৬তম স্প্যান বসানোর প্রস্তুতি চলছে। অনুকূল আবহাওয়া থাকা ও কারিগরি জটিলতা না থাকাসহ সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আজ বৃহস্পতিবারই স্প্যানটি বসানো সম্পন্ন হবে। যার মাধ্যমে দৃশ্যমান হবে সেতুর ৫ হাজার ৪০০ মিটার অংশ।

ইতিমধ্যে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে স্প্যান বসানোর প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রকৌশলীরা। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। তিনি জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় স্প্যানটি বাসানোর কর্মযজ্ঞ শুরু হয়। বেলা ১১টা ১২০ মিনিটে কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেন তিয়াইন-ই ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যানটি নিয়ে রওনা হয়। পরবর্তী প্রক্রিয়ায় কারিগরি সমস্যা না দেখা দিলে আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আজই স্প্যানটি বসানো হবে। তবে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি হলে আগামীকাল শুক্রবার স্প্যানটি বসানো হবে।

সেতু সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা গেছে, ৩৬ স্প্যানসহ সেতুতে বাকি থাকা সাতটি স্প্যান মাওয়া প্রান্তে বসানো হবে। ইতিমধ্যেই জাজিরা প্রান্তে সবকটি স্প্যান বসানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। আজ ৩৬তম স্প্যানটি বসে গেলে আগামী ১১ নভেম্বর ৯ ও ১০ নং পিয়ারে ৩৭তম স্প্যান ‘২-সি’, ১৬ নভেম্বর ১ ও ২নং পিয়ারে ৩৮তম স্প্যান ‘১-এ’, ২৩ নভেম্বর ১০ ও ১১ নং পিয়ারে ৩৯ তম স্প্যান ‘২-ডি’, ২ ডিসেম্বর ১১ ও ১২ নং পিয়ারে ৪০ তম স্প্যান ‘২-ই’ও ১০ ডিসেম্বর ১২ ও ১৩ নম্বর পিয়ারে ৪১তম স্প্যান ‘২-এফ’ বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

এছাড়া সেতুর ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ১১২৪-এর বেশি রোড স্ল্যাব বসানো হয়েছে। আর ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে এখন পর্যন্ত বসানো হয়েছে ১৬২৪-এর বেশি হাজার ৬০টির বেশি।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হয় ৩৫টি স্প্যান। এতে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর ৫ হাজার ২৫০ মিটার অংশ। ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে সবক’টি পিয়ার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে।

ঢাকাটাইমস/৫নভেম্বর/প্রতিনিধি/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :