কাকড়া রক্ষায় ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন

সাইদ চৌধুরী
 | প্রকাশিত : ০৫ নভেম্বর ২০২০, ১৪:৪৯

করোনার সময়ে প্রকৃতি তার আগের ঠিকানায় ফিরতে শুরু করেছিল। অনেকাংশে তা ফিরেছিলও। দেশের বড় বড় পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকার কারণে সবুজ হয়ে উঠেছিল সব। বিশেষ করে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকতে সাগর লতার বিস্তার এবং কাকড়ার বিচরণ সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়। প্রকৃতি সুযোগ পেলে কীভাবে আরও সুন্দর হয়ে উঠতে পারে সেটারই একটা বড় উদাহরণ যেন এই করোনাকাল।

আবার সৈকত খুলে গেছে। হাজার হাজার পর্যটক প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছে এই সমুদ্র সৈকতে। সাগর লতাগুলোর ওপর দিয়ে তৈরি হচ্ছে পা হাঁটার পথ!

কাকড়াগুলোও তাদের বিচরণের জায়গায় হারাচ্ছে নিরাপত্তা! স্থানীয়রা পর্যটকদের কাছে কাকড়া বিক্রির জন্য অর্থ নিচ্ছে। পর্যটকরা কাকড়া কিনে এনে ঢাকায় অ্যাকুরিয়ামে পালন করে সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছে।

প্রকৃতির ওপর এমন আচরণের কারণে সত্যিই প্রকৃতি হারাবে তার নিজস্ব চলন এবং ভারসাম্য। জলজ প্রাণী সংরক্ষণ, সমুদ্র দূষণ কমানো এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য টুরিস্ট পুলিশের ভূমিকা পর্যটন অঞ্চলে আরও বাড়ানো প্রয়োজন। কাকড়া বিন্যাসের কারণে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সাধারণ জলজ পরিবেশের ভারসাম্য অনেকটাই নষ্ট হবে এবং হচ্ছে।

এ ব্যাপারে সদ্য ঘুরে আসা লেখক ও শিক্ষক ফজর আলী ভাই জানান, যারাই কক্সবাজার যাচ্ছেন এবং তাদের মধ্যে কিছু অতি উৎসাহী মানুষ রয়েছেন তারাই এই কাকড়াগুলো স্থানীয়দের কাছ থেকে চারটা বিশ টাকা দরে কিনে পলিথিনে ভরে নিয়ে আসছেন। এ দৃশ্য খুব মারাত্মক অমানবিক মনে হয়েছে আমার কাছে! তিনি আরও বলেন, যারাই আইসক্রিম বা কোমল পানীয় খাচ্ছেন তারাই ওখানে সেই বোতল ও পলিথিন রেখে চলে আসছেন। সাগরের ঢেউ এসে সেগুলো নিয়ে যাচ্ছে সাগর তলে।

কি দুর্ভাগা আমরা। এত বড় পর্যটন স্থানেও আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো আমলে আনতে পারছি না।

এ বিষয়ে পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু মন্ত্রণালয়, প্রশাসন এক হয়ে কাজ করে পরিবেশ সংরক্ষণে ভূমিকা রাখবে এটাই প্রত্যাশা।

লেখক: কলামিস্ট

ঢাকাটাইমস/৫নভেম্বর/এসকেএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

মুক্তমত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা