নেয়ামত ভূঁইয়া’র কবিতা: আশার আলো
এক যে পাখি নাম দিয়েছি ‘শিল্পী কারিগর’,
তাল খেজুরের পাতায় বাঁধে হাওয়ায় দোলা ঘর।
সেই পাখিটা সোনা রঙের তন্তু করে জড়ো,
দাদীর নাকের নোলক যেনো বানায় ছোট-বড়ো।
নোলক তো নয়; বাবুইর বাসা, দুলছে হাওয়ার তালে,
সেই বাসাতে জোনাক পোকা আলোর থোকা জ্বালে।
ঝড়ের রাতে কাঁপছে ভয়ে পুঁচকে বাবুই-ছানা,
কখন জানি বাদলা হাওয়া তার ঘরে দেয় হানা।
কখন জানি বাজ পড়ে তার দুরু দুরু বুকে,
সেই ভয়েতে বাবুই ছানার ঘুম নামেনা চোখে।
মায়ের ডানার নিচে বাছা মুখ লুকিয়ে রাখে,
শিশু যেমন মা’র আঁচলে জড়িয়ে রাখে মা’কে।
মা পাখি কয়, ‘যাদু আমার খানিক সবুর কর,
ঝঞ্ঝা-বাদল রাতের কালো রয়না জনম-ভর।
রাত্রি যতোই হোক না গভীর, ঘুচবে রাতের কালো,
খানিক বাদেই দেখবি সোনা ফুটবে ভোরের আলো।’