নীলবর্ণের ঝিল- নান্দনিক সেতু মন কাড়ছে ভ্রমণপিপাসুদের

প্রকাশ | ০৬ নভেম্বর ২০২০, ১৩:৫৮ | আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২০, ১৪:২১

শওকত আলী, চাঁদপুর

সমুদ্র সৈকতের ন্যায় পানির রুপ নীলবর্ণ ধারণ ও একটি সেতু নান্দনিক রুপ পাওয়ায় পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে চাঁদপুরের একটি বিস্তীর্ণ একটি এলাকা। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান, জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও চাঁদপুর শহর থেকে শত শত ভ্রমণপিপাসুদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে এই স্থানটিতে ।

জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার গাজীপুর বাজার ও ধানুয়া বাজারের মধ্যবর্তীস্থান ডাকাতিয়া নদীর ওপর অবস্থিত নবনির্মিত এ নান্দনিক সেতু। স্থানটিকে অনেকে বলে থাকেন গরীবের নিকরী হাওর এলাকা। এই নিকরী হাওর দেখতে এবং প্রাকৃতিক নীলবর্ণের পানির সৌন্দর্যের পর্যটনকেন্দ্রটি উপভোগ করতে প্রতিদিনই ছুটে আসছেন দুর দুরান্ত থেকে ভ্রমনপিপাসুরা।

জানা গেছে, স্থানীয় প্রশাসন এখানকার মানুষের যাতায়াতের গুরুত্ব অনুভব করে এখানে থাকা রাস্তাটির উপর একটি সুন্দরতম নান্দনিক সেতু করে দিয়েছেন। সেই থেকেই এখানে হিমেল বাতাস বইতে শুরু করল আর এখানকার ঝিলের দুই পাড়ের পানি নীলবর্ণ হতে হতে এখন পুরোপুরি সমুদ্রের পানির রুপ ধারণ করায় পর্যটকদের মন কাড়তে থাকে। এটি এখন মিনি সমুদ্রের মত সৈকতে পরিণত হয়ে উঠেছে। ফলে চাঁদপুর শহরের শেষ প্রান্তে অবস্থিত তিন নদী পদ্মা-মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া মোহনার পাড়, শহরের বড় স্টেশন মোলহেডের মতো আরেকটি দর্শনীয়স্থানের সন্ধান পেল দেশের শত শত ভ্রমনপিপাসু মানুষ। এতে এখানকার মানুষের আয়ের একটি পথ সৃষ্টি হয়ে উঠলো।

এখানকার ভ্রমণপিপাসুরা জানান, গত প্রায় চার মাস আগে গাজীপুর বাজার সংলগ্ন ডাকাতিয়া নদীর ওপর এই সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এটি এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা না হলেও প্রায় তিন মাস আগে থেকেই এই সেতু দিয়ে বিভিন্ন যানবাহন ও মানুষজন চলাফেরা করে যাচ্ছে। যদিও একসময় এই স্থানটি ছিল একেবারেই নিরব, ছিলনা যানবাহন ও মানুষের যাতায়াতের কোন সড়ক। কিন্তু সেতুটি নির্মাণ হওয়ার পর থেকে সেখান দিয়ে অনেকটা সংক্ষিপ্ত পথে চলাফেরা করছে বিভিন্ন যানবাহন। সেইসঙ্গে ওই এলাকার নান্দনিক সৌন্দর্য অনেকটা বেড়ে গেছে। তাই এখানে দিন দিন যানবাহন চলাচল এবং পর্যটকদের উপস্থিতি বাড়ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ফরিদগঞ্জ উপজেলার গাজীপুর বাজার ডাকাতিয়া নদীর ওপর সেতু হয়ে ধানুয়া বাজারে যেতে যে সড়কটি তৈরি করা হয়, তার দুই পাশে রয়েছে বিশাল কয়েকটি ব্যক্তি মালিকানা ঝিল। তার পাশে ছোট্ট ডাকাতিয়া নদী। দুটি ঝিলের মধ্য দিয়ে কিছুটা বাঁক দেয়া নির্মিত সড়কের দুই পাশে ছোট, ছোট ব্লক বিছিয়ে দেওয়ায়, ওই স্থানের সৌন্দর্য বেড়ে যায়। এছাড়া, ঝিল এবং নদীরপাড়ের সবুজের সমারোহ ঘেরা বিভিন্ন গাছ-গাছালি, মৃদু বাতাস ও আকাশের নীল রঙ, ঝিলের পানিতে মিশে একাকার হয়ে গেছে। এমন পরিবেশ যে কারোই দৃষ্টি কেঁড়ে নেবে।

(ঢাকাটাইমস/৬নভেম্বর/পিএল)