চাঁদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপে ব্যাপক সংঘর্ষ

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৬ নভেম্বর ২০২০, ২১:১২

চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন এলাকায় গাঁজা কেনা-বেচা নিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথম দফা ও সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় দ্বিতীয় দফায় রেলওয়ে প্লাটফর্মে ভাংচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

রেলওয়ে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে সংঘর্ষে কতজন আহত হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। পুলিশ আসার কারণে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা পালিয়ে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, দুটি কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়েছেন ইকবাল ও আরেকটি গ্রুপে মিজান ও গাঁজা মিলন।

সকাল সাড়ে ১০টায় বড় স্টেশন লোক রানিংয়ের সামনে গাঁজা বিক্রেতা মিলনের কাছ থেকে কিশোর গ্যাংয়ের এক সদস্য টাকা দিয়ে এক পুড়িয়া গাঁজা কেনে। এরপর প্রভাব খাটিয়ে আরেক গ্রুপের সদস্য বিনামূল্যে গাঁজা নিতে গেলে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এরপর দুই গ্রুপে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।

প্রায় এক ঘণ্টা পরে বেলা সাড়ে ১১টায় রেলওয়ে থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। একই সূত্র ধরে সন্ধ্যা পৌনে ৬টা থেকে সোয়া ৬টা পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় ওই দুই গ্রুপের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ হয়। এ সময় তারা পৃথক স্থানে অবস্থান নিয়ে রেলওয়ের পাথর নিক্ষেপ করে। স্টেশনের সিসি ক্যামেরা, বিশ্রামাগার, প্লাটফর্মে থাকা কানু দত্তের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তারা ব্যাপক ভাংচুর করে মালামাল নিয়ে যায়।

এই পরিস্থিতিতে রেলওয়ে (জিআরপি) থানার এএসআই আসাদুজ্জামান ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বিভাগের ইনচার্জ খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে যৌথভাবে দুই গ্রুপকে ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

খোরশেদ আলম জানান, ইট-পাথর নিক্ষেপ করার কারণে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী প্রাথমিক পর্যায়ে সামনে এগুতে পারেনি। এক গ্রুপ স্টেশনের আগে এবং অন্য গ্রুপ পশ্চিমে অবস্থান নেয়। এই কারণে হামলায় স্টেশনের ক্ষতি হয়। পরবর্তীতে ধাওয়া করলে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

চাঁদপুর স্টেশন মাস্টার সোয়াইবুল সিকদার জানান, এ স্টেশন এলাকার স্থানীয় দুই কিশোর গ্রুপের মাঝে হঠাৎ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে স্টেশন এলাকায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই গ্রুপের লোকজন একে অপরকে ধাওয়া পাল্টা ও রেলের পাথর নিক্ষেপ করে। এতে স্টেশনের সিসি ক্যামেরা, বিশ্রামাগারের গ্লাসসহ ব্যাপক ভাংচুর ও ক্ষতি হয়। আমি তাৎক্ষণিক ঘটনাটি রেলওয়ে থানার ওসি এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ম্যানেজার (ডিআরএম) সাদেকুর রহমান ফোনে জানান, চাঁদপুর স্টেশনের ভাংচুরের ঘটনা জেনেছি। জিআরপি ও বেঙ্গল পুলিশকে ঘটনাটির পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। এই ব্যাপারে রেলওয়ে স্টেশনের পক্ষ থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।

(ঢাকাটাইমস/৬নভেম্বর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :