আবর্জনা-অবৈধ দখলে করতোয়া এখন সরু নালা

এনাম আহমেদ, বগুড়া
| আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২০, ১৪:০২ | প্রকাশিত : ১০ নভেম্বর ২০২০, ১৩:৪২

হিমালয় থেকে নেমে আসা করতোয়া নদী এখন সরু নালায় পরিণত হয়েছে। অবৈধ দখল ও ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে উত্তরের প্রসারিত নদীটির এ অবস্থা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া আবর্জনার দুর্গন্ধে স্থানীয়দের স্বাস্থ্যেরও চরম ক্ষতি হচ্ছে।

এদিকে নদীটি বাঁচাতে জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং প্রশাসনের কার্যকরী উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, নদীর বাঘোপাড়া অংশে রংপুর-বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কের পাশে প্রায় দীর্ঘদিন ধরে বগুড়া পৌরসভার নিত্যদিনের আবর্জনা এবং টিএমএসএস থেকে আবর্জনা ফেলে নদীটি ভরাট করে ফেলা হয়েছে প্রায়। তবে বগুড়ার পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে একাধিকবার ওই স্থানে আবর্জনা না ফেলার অনুরোধ জানিয়ে নোটিশ দিলেও আবর্জনা ফেলা অব্যাহত রয়েছে। ফলে নদী ভরাটের পাশাপাশি আবর্জনার দুর্গন্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ওই এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য। সেখানে টিকে থাকা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শেষ সীমানা থেকে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শেষ সীমানা পর্যন্ত করতোয়া নদীর পরিধি ১২৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে শহরের ১৩ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে করতোয়া নদী।

শহরের করতোয়ার এই অংশের এলাকা সরেজমিনে দেখা গেছে, অধিকাংশ জায়গাতেই করতোয়ার দুই ধার দখল করে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় স্থাপনা।

জানা গেছে, এর আগে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে বগুড়া জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অবৈধ দখলদারদের তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে অবৈধ দখলকারী হিসেবে স্থান পেয়েছিল টিএমএসএস, ডায়াবেটিক হাসপাতাল, বগুড়া পৌরসভা, মসজিদ, মন্দিরসহ ৩৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম। সেখানে টিএমএসএস এর বিরুদ্ধে টিএমএসএস মার্কেটের পূর্ব পাশের সূত্রাপুর মৌজার ১৭১৬ নং দাগের করতোয়া নদীর পশ্চিম পাশের মাটি ভরাট করে টিনের ছাপড়া তৈরি, সদরের ভাটকান্দি মৌজায় বাইতুল হামদ জামে মসজিদ নামে একটি মসজিদ নির্মাণ, গোপিনাথ মন্দির কমিটির বিরুদ্ধে সূত্রাপুর মৌজার ১৭১৬ নং দাগের করতোয়া নদীর পশ্চিম পাশের মাটি ভরাট করে আধাপাকা ঘর তৈরি করেছেন। যার আংশিক নদীর জমি, বগুড়া ডায়াবেটিকস হাসপাতালের বিরুদ্ধে সূরাপুর মৌজার ১৭১৬ নং দাগের করতোয়া নদীর পশ্চিম পাশের নদীর উপর পিলার করে ছয়তলা ভবন নির্মাণ করেছেন। যার উত্তরপাশের ৬০ ফুট ও দক্ষিণে ৪০ ফুট অংশ নদীর ভেতরেসহ ৩৮ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানকে অবৈধ দখলদার হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। এরপর ২০১৯ সালের মার্চ মাসে সারাদেশে একযোগে নদী রক্ষায় অভিযান চালানো হয়। সেসময় ২৮ মার্চ বগুড়াতেও জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে অভিযান শুরু হয়। তখন ডায়াবেটিক হাসপাতালসহ কিছু টিনের তৈরি ছাপড়া ঘর উচ্ছেদ করা হয়। এই উচ্ছেদ অভিযান ২০১৯ সালের বিভিন্ন সময় পরিচালনা করে ডিসেম্বরে শেষ হয়।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, তালিকাভূক্ত ৩৮ ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৮টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। তবে ভাটকান্দি মৌজার বাইতুল হামদ জামে মসজিদ এবং মামলায় থাকায় মহিষবাথান মৌজায় টিএমএসএস এর দখলকৃত ১৫৫৩ নং দাগের করতোয়া নদীর ৪.৯০ একর জায়গার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি। যেখানে জমিতে মাটি ভরাট করে আধাপাকা ঘর ক্যান্টিন, ছাত্রাবাস, পুকুর ও নার্সারি তৈরি করেছে টিএমএসএস। এছাড়া অর্থ বরাদ্দ না থাকায় বাকি আরো আটটি স্থাপনা উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি।

এই তালিকার বাইরেও শহরের মধ্যে করতোয়ার ১৩ কিলোমিটার এলাকা ঘুরলে দেখা যাবে নদীর দুই ধারে বিভিন্ন স্থাপনা। এই স্থাপনাগুলো কোথাও পুরোটাই নদীর অংশে, আবার কোন স্থাপনার অর্ধেক অংশ করতোয়া দখল করে দাঁড়িয়ে আছে। বিশেষ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পাশ দিয়ে যাওয়া অংশ এছাড়া চেলোপাড়া ব্রিজ, উত্তর চেলোপাড়া ব্রিজ, এসপি, ভাটকান্দি ব্রিজের উপর দাঁড়ালেই নদী দখলে করে দাঁড়িয়ে থাকা অবৈধ স্থাপনাগুলো চোখে পড়বে। এছাড়া দুরদহ-মহিষবাথান মৌজায় করতোয়া নদীর দুটি মুখ বন্ধ করে নদী ক্রমাগত দখল করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই সেখানে একটি একতলা ইটের ঘর তৈরি করা হয়েছে। অপর একটি মুখে বগুড়া পৌরসভার ময়লা ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। ঢাকা-বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের সঙ্গেই করতোয়ার ওই শাখা অংশে ময়লা ফেলায় প্রায় দুই বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে সেখানে বসবাসরত সাধারণ মানুষের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।

বাঘোপাড়া উত্তরপাড়া গ্রামের নান্টু মিয়া জানান, নদীতে আবর্জনা ফেলায় দুর্গন্ধে তাদের সেখানে বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আবর্জনা না ফেলার জন্য একাধিকবার স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং পৌরসভার কাছে দরখাস্ত করেও কোন লাভ হয়নি।

একই গ্রামের রেশমী বেগম জানান, আবর্জনার দুর্গন্ধে প্রায়ই তার বমি হতো। সেখান থেকে তার পেটের অসুখ হয়েছে। তিনি দুই দিন আগেও এই অসুস্থতার কারণে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। অসহনীয় অবস্থার মধ্যে সেখানে বসবাস করতে হচ্ছে তাদের।

এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়, বগুড়ার পরিচালক আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘আবর্জনা ফেলার জন্য এমন জায়গায় ডাম্পিং স্টেশন করা দরকার, যেখানে কোন জনবসতি নেই, লোকজনের চলাচল নেই। এখানে আবর্জনা ফেলার কারণে নদী এবং পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। আমাদের পক্ষ থেকে একাধিকবার টিএমএসএস এবং পৌরসভাকে সেখানে আবর্জনা না ফেলার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা শুনছে না। এছাড়া ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট নামে একটি প্রক্রিয়া আছে। এটাতে আবর্জনাকে রিফাইনিং করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ আছে। যেটা দেশের বিভিন্ন জেলাতেই করছে এখন। পৌরসভার মেয়রের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মহোদয়কেও বিষয়টা জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা এখনও আমাদের এ বিষয়ে কিছু জানাননি।’

এদিকে বগুড়া পৌরসভার মেয়র মাহবুবর রহমান বলেন, ‘আমাদের মাটিডালি এলাকায় ১২ বিঘার একটি ভাগাড় আছে। ওটা প্রায় ৫০ বছর আগের। আমরা আবর্জনা ওখানেই ফেলতাম। কিন্তু টিএমএসএস সেখানে স্কুল-কলেজ করেছে। আবর্জনা ফেলার কারণে তাদের সমস্যা হচ্ছিল। তারা একটা বিনিময়ের প্রস্তাব দেয়। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া বিনিময় সম্ভব না এটা জানিয়ে দিলে তারা বিকল্প জায়গার প্রস্তাব দেয়। এখন যেখানে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে, সেটাকে তারা নিজেদের জায়গা জানিয়ে সেখানে আবর্জনা ফেলতে বলে। তারপর থেকে সেখানে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। কিন্তু ওই জায়গাতে ময়লা না ফেলার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে আমাদের চিঠি দিয়েছিল। আমরা এর জবাবও দিয়েছি। আবর্জনা নিয়ে শুধু বগুড়ার সমস্যা না এটা সারাদেশের সবগুলো পৌরসভার সমস্যা। আবর্জনাগুলো কোথাও না কোথাও তো ফেলতে হবে। আমরা নেদারল্যান্ডের সঙ্গে এমওইউ করেছিলাম। তারা এই আবর্জনা থেকে গ্যাস বা বিদ্যুৎ উৎপন্ন করবে। এটা মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে। মন্ত্রণালয়ে কাজ চলছে। আবর্জনাকে রিফাইনিং প্রক্রিয়ায় না আনা পর্যন্ত এই সমস্যাগুলো থেকেই যাবে।’

অন্যদিকে টিএমএসএস’র নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা বেগম বলেন, ‘আমাদের কোন আবর্জনা সেখানে ফেলা হচ্ছে না। পৌরসভার আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। ওই স্থানের পাশেই আমাদের ইউনিভার্সিটি আছে। আবর্জনার দুর্গন্ধের কারণে আমাদের ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা কয়েকবার সড়ক অবরোধ করেছিল। মাটিডালি এলাকায় আমাদের পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ আছে। সেখানে পৌরসভারও নিজস্ব জায়গা আছে। সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলছিল। কিন্তু আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই হাজার শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সেখানে যারা আবাসিক থাকতো তাদের আপত্তির মুখে পৌরসভার সঙ্গে কথা বলি। তখন তারা জানায় আবর্জনা কোথায় রাখব। পরে আমি মহিষবাথান মৌজার চাকদহ নামক একটি জায়গা দেখিয়ে দিই। সেই চাকদহের অর্ধেক অংশ আমাদের এবং অর্ধেক অংশ খাস। কিন্তু সেই জায়গায় না ফেলে পৌরসভা থেকে আমাদের নিজস্ব জমিতে ফেলছে। আমরা নিজেরাও সেখানে আবর্জনা না ফেলার জন্য বার বার আবেদন করছি। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে আমাদের নোটিশ দিয়েছিল আবর্জনা না ফেলার জন্য। আমরা আমাদের কথা জানিয়ে জবাব দিয়েছি।’

জেলা প্রশাসনের করা করতোয়ায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের তালিকায় টিএমএসএস এর বিরুদ্ধে দুটো মৌজায় দখলদারীর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওই তালিকাটি ভুয়া। সূত্রাপুর মৌজায় মাটি ভরাট করে টিনের ছাপড়ার যে তালিকা হয়েছিল। সেটি অভিযানের সময় আমরা নিজেরাই উঠিয়ে নিয়েছি। তবে মহিষবাথান মৌজার যে জায়গাটি তালিকায় এসেছিল। সেটি আমরা যথাযথ আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লিজ নিয়ে আমরা সেটিকে ব্যবহার করছি। এটা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা আছে। আমরা রায় পেয়েছি। ডিসি সাহেব আমাদের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। নদীর সীমানা চিহ্নিত করণের জন্য আমি পঞ্চাশটির বেশি চিঠি লিখেছি। নদীর সীমানা চিহ্নিত করার সময় পিলারগুলো আমি কন্ট্রিবিউট করব। নদী কমিশন থেকে নদীর সীমানা চিহ্নিত করার জন্য চিঠি দেয়া হলেও চিহ্নিত করা হয়না।

বগুড়া সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) বীর আমির হামজা বলেন, ‘তালিকা অনুযায়ী গত বছর করতোয়া নদী থেকে ২৮টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়েছে। তবে একটি মসজিদ এবং মামলা চলমান থাকায় টিএমএসএস এর স্থাপনা উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে নদী পরিমাপ করাটা খুব জরুরি। নদী পরিমাপ করার জন্য গত জেলা মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সহকারী কমিশনার ভূমি কার্যালয় থেকে যৌথ সার্ভে করে পরিমাপ করতে হবে। এরপর নদীর অংশে যে স্থাপনাগুলো পাওয়া যাবে সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে। কিন্তু নদী রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে থেকে কাজ করার কথা থাকলেও তারা সেটি করছে না। তবে নদী রক্ষায় এবং এর সৌন্দর্যবর্ধণের জন্য আমাদের পরিকল্পণা আছে। জেলা প্রশাসক মহোদয় এ বিষয়ে পরিকল্পনা নিয়েছেন।’

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, নদীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে পানি উন্নয়ন বোর্ড উদ্যোগ নিচ্ছেনা, এমন অভিযোগ সঠিক নয়। গত বছর তালিকা অনুযায়ী বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। তবে অর্থের বরাদ্দ না থাকায় কিছু উচ্ছেদ সম্ভব হয়নি। নদীর জায়গা যদি কেউ দখল করে থাকে তবে আমরা সেটিকে উচ্ছেদ করব। এর আগে টিএমএসএস এর একটি গেট ভাঙার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। সেটি নিয়ে মামলা হয়েছে। আমরা মামলা লড়ে যাচ্ছি। মামলার রায় পাওয়ার পরপরই সেটি ভাঙার চেষ্টা করব। নদী দখলকারী যত শক্তিশালীই হোক সরকার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বরাদ্দের জন্য আমরা আবেদন করেছি। বরাদ্দ পেলে আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে আবারো উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করব। তবে নদী রক্ষায় দুই হাজার ৬৬৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্ল্যানিং কমিশনে জমা দেয়া আছে। সেটি পাস হলে নদী খনন, দুইপাশ দিয়ে রাস্তা, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এবং সৌন্দর্যবর্ধন করতে যা যা করা লাগবে, তার সবই করা হবে। এলে অবৈধ স্থাপনা এমনিতেই সরে যাবে।’

(ঢাকাটাইমস/১০নভেম্বর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :