‘শতভাগ নাগরিকসেবা নিশ্চিত করতে চাই’
‘গত এক দশক ধরে বগুড়ায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। গোটা দেশে কম-বেশি উন্নয়ন দৃশ্যমান হলেও বগুড়ার উন্নয়ন শূন্যের কোঠায় ঠেকেছে। পিছিয়ে পড়া বগুড়াকে নিয়ে এখন ভাবার সময় এসেছে। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে তরুণদের সাথে নিয়ে বগুড়াকে আধুনিক পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। নাগরিকসেবা শতভাগ নিশ্চিত করতে চাই।’ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বগুড়ার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার এসব কথা বলেন মেয়রপ্রার্থী আব্দুল মান্নান আকন্দ।
শহরের শুকরা কমিউনিটি সেন্টারে প্রায় তিন শতাধিক তরুণ শিক্ষার্থী আব্দুল মান্নান আকন্দের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন। তারা আসন্ন বগুড়া পৌর নির্বাচনে আব্দুল মান্নান আকন্দকে সমর্থন জানিয়ে তার পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
এসময় আব্দুল মান্নান আকন্দ আরো বলেন, ‘বগুড়া পৌরসভার উন্নয়নের জন্য সরকারের অর্থের প্রয়োজন নেই। পৌরসভার আয় থেকেই এই শহরের উন্নয়ন করা সম্ভব। অসৎ ব্যক্তিদের হাতে পৌর ক্ষমতা থাকায় এই অর্থ কিছু ব্যক্তির পকেটে চলে যাচ্ছে। আমি কথা দিচ্ছি, মেয়র নির্বাচিত হলে আমি পুরো সিস্টেমকে জবাবদিহিতার আওতায় আনব।
তিনি আরো বলেন, কোন নাগরিক যাতে সেবা নিতে এসে ভোগান্তির শিকার না হয়- সেজন্য আমি নিজের বাড়ি ছেড়ে পৌর কার্যালয়েই অবস্থান করব।
এসময় আব্দুল মান্নান আকন্দের দুই মেয়ে মৌসুমী মান্নান এবং মাহবুবা মান্নান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।
তারা বলেন, বগুড়ার একজন আলোকিত মানুষ আব্দুল মান্নান আকন্দ। তার মানবিক এবং সামাজিক কার্যক্রমগুলো আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আমরা তার মত একজন পিতাকে পেয়ে নিজেদের ধন্য মনে করি। তারা আশা প্রকাশ করেন তার পিতা বগুড়ার মেয়র নির্বাচিত হলে সব মানুষ ন্যায় বিচার পাবেন। সেই সাথে তিনি তার মেধা দিয়ে পুরো বগুড়ার উন্নয়ন করতে সক্ষম হবেন। এসময় তার দুই কন্যা তার পিতাকে তরুণ শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিয়ে বলেন, তিনি আপনাদেরও অভিভাবক। তার সাথে আপনারা সবাই উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীরাও আব্দুল মান্নানের সামাজিক কার্যক্রমের ভূয়সী প্রসংশা করে বলেন, বগুড়ার মানুষের নাগরিক মান বৃদ্ধির জন্য আপনাকে আমরা নগর পিতার আসনে দেখতে চাই। সেজন্য আমাদের সর্বোচ্চ মেধা এবং পরিশ্রম দিয়ে আপনার সাথে কাজ করে যাব।
উল্লেখ্য, আব্দুল মান্নান আকন্দ পেশায় একজন ব্যবসায়ী- পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, ব্যবসায়ী সংগঠনের সাথে জড়িত। ব্যক্তি উদ্যোগে সামাজিক কার্যক্রম পরিচালানা করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরেই।
ইতোমধ্যেই তিনি গরিবের বন্ধু হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের সাথে সদা হাস্যোজ্জ্বলভাবে মিশেন তিনি।
তিনি অতি দরিদ্র ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মাঝে নিয়মিত খাতা-কলম-ব্যাগ বিতরণ করে আসছেন। এছাড়া শিক্ষার্থীরা যেন গরমে কষ্ট না পান এজন্য তিনি তাদের ক্লাস রুমে ফ্যানের ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন দিবসে বগুড়ার সরকারি শিশু পরিবারের শিশুদের নতুন পোশাক ও বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা নিয়মিত করে আসছেন। গরিব প্রাথমিক শিক্ষার্থীরা যেন বছর শেষে কিছুটা হলেও আর্থিক সুবিধা পায়, সেজন্য তিনি সম্প্রতি ২০ জন এসব শিক্ষার্থীর মাঝে ভেড়া বিতরণ করেছেন। তিনি প্রায় শতাধিক গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার ব্যবস্থা করেছেন। তার বদৌলতে এখন এসব শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিশ্চিন্তে পড়াশোনা করছেন। এছাড়াও করোনাকালে প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে রান্না করা খাবার দিয়েছেন তিনি। এখনো প্রতিদিন গড়ে ৫০০ মানুষকে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে যাচ্ছেন। তার সামাজিক কার্যক্রমে বগুড়ার সাধারণ খেঁটে খাওয়া মানুষ উজ্জীবিত। তিনি আসন্ন বগুড়া পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে নিজেকে ঘোষণা দিয়ে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন।
(ঢাকাটাইমস/১১নভেম্বর/এলএ)