কবিতা
জোড়পুকুরিয়া: স্মৃতির মুকুরে মুখ
গোমতির কূলে কূলে সাদা সাদা কাশফুলে ফেলে আসা স্বর্ণালি শৈশব
ভুলতে পারেনি মন যতো করে আহরণ বিত্তের বাহারি বৈভব।
মাটির মায়ার টানে শেকড়ের সন্ধানে বারে বারে মন ছুটে যায়,
স্মৃতির যে কাতরতা বাড়ায় তা ব্যাকুলতা ফিরে ফিরে পেছনে তাকায়।
জোড়পুকুরিয়া গাঁয়ে অন্দরে লোকালয়ে বাল্যের সুখ স্মৃতি মাখা,
সে স্মৃতির বিহঙ্গ সারাটা জীবন জুড়ে ঝাপটায় সকাতর পাখা।
পথে ঘাটে প্রান্তরে গাঁ বাসীর অন্তরে এখনো আমার স্মৃতি জাগে,
সেই শুভাশিস ঢেউ এখনো নিত্যদিন আমার পরাণে এসে লাগে।
খেলার সাথিরা মিলে কৌতুকে কোলাহলে অকারণ কতো কলরব,
কাদা-জলে গড়াগড়ি বুকে বুক জড়াজড়ি বোকা বোকা কতো অনুভব।
বোকা থাকা কতো ভালো মন জুড়ে থাকে আলো বুকভরা থাকে ভালোবাসা,
সকলের ভালো হবে সকলেই সুখে রবে অন্তরে জাগে এই আশা।
সময়ের তালে তালে বুদ্ধির বেড়াজালে মন যতো গেছে জড়িয়ে,
শুভবোধ সব মৃত স্বার্থে সে কলুষিত; শৃঙ্খল দিলো পরিয়ে।
এখন সে সব ভুলে বুদ্ধির ঝাঁপি খুলে বিত্তের ছকে-ছকে হাঁটে,
বুঝে সে আপন পর চাল চালে বিস্তর বন্ধুর প্রাণ মেরে মাঠে।
ন্যায়-নীতি সরলতা তার কাছে বাতুলতা ভুলে গেছে গোমতির পাড়,
তার সে সবুজ মন তেমন আর নেই এখন সে এখন পাকা খেলোয়াড়।
সাথিদের পিছে ফেলে হাবা-গোবা সেই ছেলে বাড়িয়েছে এতোখানি দাম,
সেই সাথিদের চেনা এখন আর মানাবে না এতে তার হবে বদনাম।
একান্তে তবু তার মন জুড়ে হাহাকার স্বস্তির নেই যেনো লেশ,
গাঁয়ের মায়ের কোলে ফিরে যেতে মন বলে; যেই খানে শুরু আর শেষ।