ডিজিটাল সেন্টারের ১০ বছর পূর্তিতে অনলাইন সম্মেলন অনুষ্ঠিত

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২০, ১১:২৩ | প্রকাশিত : ১২ নভেম্বর ২০২০, ০৯:৩৭

জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর যাত্রা শুরু হয় ডিজিটাল সেন্টারের। গতকাল ছিল এর ১০ বছর পূর্তি।

এ উপলক্ষে ১১ নভেম্বর ২০২০ অনলাইনে আয়োজিত হয়েছে অনলাইন সম্মেলন এবং লোকসংগীত (ফোক) কনসার্ট।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, পিএএ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মো. আব্দুল মান্নান, পিএএ। অনুষ্ঠানে এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী ডিজিটাল সেন্টারের ১০ বছরের কার্যক্রম নিয়ে উপস্থাপনা প্রদান করেন।

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল এখন দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে।

মন্ত্রী জানান, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষ প্রযুক্তির সাথে নিজেদেরকে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। আজকে অজপাড়াগাঁয়ে বসবাস করেও মানুষ শুধু দেশেই নয়, সারা বিশ্বের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে সক্ষম হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের কারণে মানুষের জীবনযাপনের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান এবংঅর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নব দিগন্তের সূচনা করে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। নতুন প্রজন্মের আইসিটিতে নতুন নতুন উদ্ভাবন বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধির পথে আরও এগিয়ে নিবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, জাতির পিতার দর্শন ছিল বৈষম্যহীন সমাজ ও গ্রাম উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন। এই দর্শন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য সন্তান ও প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করেন। যে পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম, নাগরিকদের কেবল তথ্য দিলেই সেবা সম্পন্ন হবে। পরবর্তীতে আমরা তাদের দোরগোড়ায় সেবা দেয়ার কার্যক্রম শুরু করি। বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনে ডিজিটাল সেন্টারের ভূমিকা সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। এখানে সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে নাগরিকদের যাতায়াতের দূরত্ব, নারী-পুরুষ বৈষম্য, ধনী-দরিদ্র বৈষম্য এবং দুর্নীতি দূর হয়েছে। তিনি আরো বলেন, উদ্যোক্তাদের দাবির প্রেক্ষিতে ইউনিয়ন পর্যন্ত হাই-স্পিড ইন্টারনেট, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে সু’সম্পর্ক তৈরি এবং নতুন সেবার পরিমাণ বাড়াতে আমরা কাজ করছি। আমরা এই ‘সার্ভিস বেইজ প্ল্যাটফর্ম’কে ‘বিজনেস হাব’ হিসেবে রূপান্তর করার চেষ্টা করছি, এর মাধ্যমে মানবসম্পদ তৈরি করছি এবং আগামীতে প্রতি ২ কিলোমিটারের মধ্যে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন ও ৫০০ সেবাকে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ১০ বছর আগে আমরা যখন ডিজিটাল সেন্টারের কাজ শুরু করি, অনেকেই এর সম্ভাব্যতা এবং উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তিগত সহায়তা কীভাবে দেবো এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতো! কিন্তু, আমরা ধীরে ধীরে উদ্যোক্তাদের হাতে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে সমর্থ হই। শুরুর দিকে প্রায় ১৬০০ ইউনিয়ন পরিষদে কোনো বিদ্যুৎ ছিল না। আমরা তাদের জন্য সোলার ব্যবস্থা করি। এ সবকিছুই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার জন্য।

(ঢাকাটাইমস/১২নভেম্বর/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা