যশোরে ব্যবসায়ীকে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

যশোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ নভেম্বর ২০২০, ১৭:৫৬

মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন যশোরের ব্যবসায়ী হাসানুর রহমান। শুক্রবার সকালে প্রেসক্লাব যশোরে তিনি এ সংবাদ সম্মেলনে করেন।

হাসানুর রহমান যশোর সদর উপজেলার জগমোহনপুর গ্রামের বাসিন্দা। এলাকায় তার জাহানারা এন্টারপ্রাইজ ও সোনার বাংলা সীড ফার্ম নামে আড়তদারী ও কৃষি পণ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

সম্মেলনে হাসানুর রহমান জানান, ব্যবসার কাজে চৌগাছার গরীবপুর গ্রামের মৃত মোজাম্মেল বিশ্বাসের ছেলে সিনজেনটা বাংলাদেশ লি: পরিবেশক মোফাজ্জেল হোসেনের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। দীর্ঘদিন ধরে তার সঙ্গে টাকা পয়সা লেনদেন হয়। সর্বশেষ সিনজেনটা থেকে কম দামে মাল ক্রয়ের কথা বলে চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি ২২ লাখ টাকা এবং আগস্টে ৩০ লাখ টাকা ধার হিসেবে নেয়। ২/১ মাসের মধ্যে ওই টাকা পরিশোধ করার কথা থাকলেও টাকা না দিয়ে ২ নভেম্বর ইসলামী ব্যাংক চৌগাছা শাখার অনুকূলে তাকে ৫০ লাখ টাকার একটি চেক দেন। ১২ নভেম্বর ওই চেক দিয়ে টাকা উত্তোলণ করার জন্য তিনি ব্যাংকে জমা দিলে পর্যাপ্ত টাকা নেই বলে ব্যাংক থেকে চেকটি ডিজঅনার করে দিয়েছে। পরে চেক ফেরত দেয়ার পর মোফাজ্জেল হোসেন গত ১০ নভেম্বর চৌগাছা থানায় তাকে প্রধান আসামি করে দুই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় মোফাজ্জেল হোসেনের দোকানের কর্মচারী আল আমিন রানা নামে এক কর্মচারীকে দুই নম্বর আসামি করা হয়।

এ মামলাকে মিথ্যা দাবি করে হাসানুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি মামলাটি প্রত্যাহার করে টাকা পরিশোধের আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- হাসানুরের প্রতিবেশি আকুল হোসেন, মামলার ২ নম্বর আসামি রানার পিতা মিরাজ হোসেন, মা তাসলিমা বেগম, চাচা মোস্তাক আহম্মেদ, দাদা মধু সরদার।

এদিকে মোফাজ্জেল হোসেনের দাবি, হাসানুজ্জামান চৌগাছা সিনজেন্টা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ছিলেন৷ ২০১৭ সালে ডিসেম্বরের দিকে ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি৷ এরপর ব্যবসার সকল দায়িত্ব লিখিতভাবে গ্রহণ করেন তিনি৷ এখানে বাৎসরিক সাত কোটি টাকা লেনদেন হয় বলে জানান তিনি৷ প্রতিষ্ঠানের গোডাউনে আড়াই থেকে তিন কোটি টাকার মাল স্টক থাকত৷ কোম্পানির কাজে বিভিন্ন সময় বাইরে যাওয়ার কারণে ব্লাঙ্ক চেক সই করা থাকত৷ এই ব্যবসা চলাকালে ও বিভিন্ন সময় কোম্পানির প্রতিমাসে ৫/১০ লাখ টাকার লেনদেন হতো৷ ওইসময় হাসানকে অভিযুক্ত মোফাজ্জেল জিজ্ঞাসা করেন, এত টাকা তুমি কোথায় পাচ্ছ৷

তখন হাসান বলেন, ‘আমার দুই নম্বর স্যারের ব্যবসা আছে৷ সেখান থেকে টাকা আসে৷ জামাত ইসলামের ফান্ডের টাকা আমি ব্যবহার করি৷’

(ঢাকাটাইমস/১৩নভেম্বর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :