হত্যা মামলার বাদীদের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষের মামলা

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৪ নভেম্বর ২০২০, ১৮:২০

পটুয়াখালীর বাউফলে আলোচিত রকিব উদ্দিন ওরফে রুমন তালুকদার ও তার চাচাতো ভাই ইশাদ তালুকদার হত্যা মামলার বাদী ও চার সাক্ষীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-লুটপাটের অভিযোগে মামলা করেছেন হত্যা মামলার এক আসামির স্ত্রী।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে বাউফল প্রেসক্লাব মিলনায়তে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেছেন জোড়া হত্যা মামলার বাদীর পরিবার এবং চাঁদাবাজি, ভাঙচুর ও লুটপাট মামলার এক সাক্ষী।

জানা গেছে, কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেশবপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সালেহ উদ্দিন পিকু এবং সাধারণ সম্পাদক ও কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুর মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এর জেরে গত ২ আগস্ট সন্ধ্যায় কেশবপুর বাজারে একটি চায়ের দোকানে চা পান করা অবস্থায় সালেহউদ্দিনের ছোট ভাই ও যুবলীগের নেতা রকিব উদ্দিন এবং তার চাচাতো ভাই যুবলীগকর্মী ইশাদ তালুকদারকে ওপর ৫৫-৬০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল কুপিয়ে জখম করে। ওই দিন রাতেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুকে প্রধান আসামি করে ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে রুমনের বড় ভাই মফিজ উদ্দিন মিন্টু একটি হত্যা মামলা করেন।

ওই মামলার চার নম্বর আসামি হলেন রাসেল হাওলাদার। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। তার স্ত্রী রুমা খাতুন চাঁদা দাবি এবং তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে গত ৮ নভেম্বর পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আমলী আদালতে ১০ ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন।

আসামিদের তালিকায় আছেন-হত্যা মামলার বাদী মফিজ উদ্দিন ও সাক্ষী জিয়াউদ্দিন সুজন, মোজাম্মেল হক, আলিফ তালুকদার, মুজাহিদুল ইসলাম। মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে অধ্যক্ষ সালেহউদ্দিনকে। এরা সবাই নিহত রকিব উদ্দিনের পরিবারের সদস্য।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সালেহউদ্দিন বলেন, ‘হত্যা মামলায় হামলা ও ভাঙচুরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই সময় বাজারে পুলিশ মোতায়েন ছিল। আসলে এ রকম কোনো ঘটনেই ঘটেনি। হত্যা মামলাকে ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য বাদী ও সাক্ষীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

এসময় নিহত রকিবের মা ফাতিমা বেগম ও বোন জেবুন্নাহার অনি, ইশাদের বাবা মনায়েম তালুকদার ও মা রেহেনা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে চাঁদাবাজি, ভাঙচুর ও লুটপাটের মামলায় না জানিয়ে সাক্ষী করার প্রতিবাদে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেন জুয়েল তালুকদার নামে এক ব্যক্তি।

তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘কেশবপুর বাজারে ১২ আগস্ট, সকাল সাড়ে আটটায় কোনো চাঁদাবাজি, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি। এ সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। অথচ তাকে ৭ নম্বর সাক্ষী করা হয়েছে।’

তিনি সাজানো ঘটনায় না জানিয়ে সাক্ষী করায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

(ঢাকাটাইমস/১৪নভেম্বর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :