নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া রচিত দুটি হামদ
হামদ: ১
আমার জন্ম-জীবন-মরণ
সবই তোমার দান,
হে খোদা ! তুমি রহীম-রহমান।।
আকাশ-বাতাস-চন্দ্র-তারা
সাগর নদী-ঝর্ণাধারা
গায় যে তারা দিবানিশি তোমার গুণগান।।
ফুলে ফলে শস্য-দানায়
বৃষ্টি মেঘে শিশির-কণায়
তোমার কৃপার নাম প্রকাশে ‘খালেক-সোবহান’।
দুঃখ-শোকে বিয়োগ-ব্যথায়
বান্দা তোমার কাটায় যেথায়
সেথায় তোমার দয়ার ধারা নিত্য বহমান-
হে খোদা ! তুমি রহীম-রহমান।।
পাখির গানে ফুলের শোভায়
সূর্য-আলোয় চাঁদের আভায়
সৃষ্টি-জগৎ জুড়ে শুধু তোমার দয়ার শান।।
তোমার দয়ার সীমারেখা
ত্রিভুবনে যায় না আঁকা
তোমারই মহিমা গাহে জমিন ও আসমান-
হে খোদা ! তুমি রহীম-রহমান।।
আল্লাহ তোমার দরবারেতে
কাঁদি আমি মোনাজাতে
তোমার দয়ার দানে ধন্য করো ওগো মেহেরবান-
হে খোদা ! তুমি রহীম-রহমান।
হামদ: ২
চাঁদ তারা আলো জ্বেলে আকাশে
আল্লাহরই নাম প্রকাশে।
হে রহীম রহমান
হে মহান মহীয়ান
তোমারই গুণগান ভাসে বাতাসে।।
গুলশানে বুলবুল
যেই গানে মশগুল
আল্লাহরই নাম সেই সুর-উদাসে।
অলি সেই গানে গানে
সুর তোলে ফুলবনে
মধু-মাখা সেই নামে ফুল বিকাশে-
আল্লাহরই নাম প্রকাশে।।
তরু-নদী পর্বত
সে-নামেরই বরকত
ঝিঁ ঝিঁ পোকা সেই নামই জপে শ্বাসে শ্বাসে।
ঝরণার নির্ঝর
ঝরে ঝর-ঝর-ঝর
সেই নামই ধারা হয়ে ঝরে উছাসে-
আল্লাহরই নাম প্রকাশে।।
সৃষ্টির কণা কণা
করে তাঁরই আরাধনা
ত্রিভুবন বাঁচে সেই নামের আভাসে-
আল্লাহরই নাম প্রকাশে।