দৌলতপুরের সরকারি ওষুধ ময়লার ভাগাড়ে!

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ নভেম্বর ২০২০, ১৮:০১

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের জন্য বিনামূল্যে দেয়ার ওষুধ ভাগাড়ে ফেলে দেয়া হয়েছে। অথচ হাসপাতালে আসা রোগীদের তা সময়মত সরবরাহ করা হয়নি।

সরেজমিনে দেখা যায়, দৌলতপুর উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালে রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি বিনামূল্যের ওষুধ ময়লার ভাগাড়ে পড়ে আছে। এসব ওষুধ সময়মত না দিয়ে সাধারণ রোগীদের বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনে আনতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ রোগী ও তাদের স্বজনদের। সরকারি বিনামুল্যের বিপুল সংখ্যক ওষুধ ভাগাড়ে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় ঊৎসুখ জনতা সেখানে ভীড় করছেন।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার চিকিৎসার জন্য ভর্তি হওয়া হরিণগাছী গ্রামের বৃদ্ধ লুৎফর রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমি আজ তিনদিন এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। দিনে একটা লাল আর নীল রংয়ের বড়ি দেয় তা ছাড়া অন্য ঔষধ বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে।

হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, সরকারী স্যালাইন হাসপাতালের সাথে জড়িত কিছু ঔষধ ব্যবসায়ী ও দালাল চক্রের কাছ থেকে সাধারণ রোগীরা কিনে নিয়ে ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন।

হাসপাতালের একাধিক সূত্র ও স্থানীয়রা জানান, হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সরকারি ওষুধ সরবরাহ থাকলেও আগত রোগীদের সরবরাহ নেই বলে বাইরের ফার্মেসি থেকে ইনডোর ও আউটডোর রোগীদের কিনে আনতে বাধ্য করা হয়।

সরকারি ওষুধ ভাগাড়ে পড়ে থাকার কারণ জানতে চাইলে হাসপাতালের স্টোর ইনচার্জ বজলুর রহমান বলেন, আমি ওষুধের হিসাব রাখি না। ওষুধের হিসাব স্যারের কাছে থাকে। তিনি এ ব্যাপারে কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কারণে ওষুধ ফেলে দেয়া হয়েছে।

সরকারি ওষুধ রোগীদের সময়মত না দিয়ে এখন মেয়াদ উত্তীর্ণ বলে ফেলে দেয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে চাননি।

এছাড়া মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিধিসম্মতভাবে নষ্ট না করে ভাগাড়ে ফেলে জনস্বাস্থ্যকে আরো ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়া হলো কিনা? এমন প্রশ্নের জবাব দেননি এই কর্মকর্তা।

(ঢাকাটাইমস/১৬নভেম্বর/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :