কঙ্কালকাণ্ডে আটক দুজনের বিরুদ্ধে মামলা
ময়মনসিংহ নগরীর রামকৃষ্ণ মিশন রোডের একটি বাসায় বস্তা ও কার্টনভর্তি মানুষের মাথার খুলি ও হাড় উদ্ধারের ঘটনায় আটক বাপ্পিসহ দুজনের নামে মামলা হয়েছে। ওই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে বাপ্পীকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠায় কোতোয়ালীয় মডেল থানা পুলিশ।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘রবিবার রাতে বাপ্পি ও শাকিলের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৩-৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। শাকিলের বিরুদ্ধে কঙ্কাল চুরির মামলা রয়েছে। সে পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
গত শনিবার রাতে ময়মনসিংহ নগরীর আর.কে মিশন রোড এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে বাপ্পিকে আটক করেছে পুলিশ। ওই সময় উদ্ধার করা হয় মানুষের ১২টি মাথার খুলি, দুই বস্তা হাড়গোড় ও কেমিক্যাল। হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে রবিবার দেশের বাইরে পাচারের কথা ছিলো কঙ্কালগুলো। কিন্তু পুলিশ খবর পেয়ে তার আগেই অভিযান চালায়।
পুলিশ জানায়, জেলার বিভিন্ন কবর থেকে মরদেহগুলো তুলে চুরি করে কেমিক্যাল দিয়ে তা প্রক্রিয়াজাত করে নিজের বাসায়ই কঙ্কাল রাখতেন বাপ্পি। মজুদ করা মানুষের কঙ্কালের খবরে শনিবার রাত ২টা থেকে কোতোয়ালি মডেল থানার একদল পুলিশ সেখানে অভিযান শুরু করে। ভোর ৪টা পর্যন্ত চলা অভিযানে আটক করা হয় বাপ্পিকে (৩০)। তিনি নগরীর কালিবাড়ি কবরখানা এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে।
পুলিশ আরও জানায়, বাপ্পি দীর্ঘদিন ধরে কঙ্কালের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ইতোপূর্বে তিনি একবার কঙ্কালসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ওই মামলায় জেলও খেটেছেন। কিন্তু এরপরও তার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বাপ্পিসহ বেশ কয়েক সদস্যের একটি চক্র জড়িত কঙ্কাল চুরির সঙ্গে।
ঢাকাটাইমস/১৬নভেম্বর/ইএস