বেগমগঞ্জে ব্যবসায়ী অপহরণ করে নির্যাতন, গ্রেপ্তার ১

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর ২০২০, ১৯:২৩

চাঁদার দাবিতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আমান উল্যাপুর ইউনিয়নে কফিল উদ্দিন (৩৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করেছে সন্ত্রাসীরা। এসময় তারা ওই সিএনজি অটোরিকশা ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে টর্সারসেলে নির্যাতন করে হত্যার চেষ্টা করেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার ও প্রধান অপহরণকারী রায়হানকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে।

মঙ্গলবার ভোরে ব্যবসায়ীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সোমবার গভীর রাতে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। আহত ব্যবসায়ীর স্ত্রী বাদী হয়ে ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

আহত কফিল উদ্দিন আইয়ুবপুর গ্রামের পন্ডিত বাড়ির লকিয়ত উল্যার ছেলে।

গ্রেপ্তার রায়হান অভিরামপুর গ্রামের মোরশেদ আলমের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অটোরিকশা ব্যবসায়ী কফিল উদ্দিনের কাছে পাশের অভিরামপুর গ্রামের রায়হান দীর্ঘদিন থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছিল। কফিল উদ্দিন চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় রায়হান ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। সোমবার সন্ধ্যায় আইয়ুবপুর গ্রামের কাজী বাড়ির মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে বের হয় কফিল উদ্দিন। এসময় রায়হানের নেতৃত্বে ৫-৭ জন সন্ত্রাসী ২-৩টি মোটরসাইকেল যোগে এসে কফিল উদ্দিনকে অপহরণ করে রায়হানের টর্সারসেলে নিয়ে যায়। সেখানে আটকে রেখে এলোপাতাড়ি মারধর করে কফিলকে। বিষয়টি তাৎক্ষণাত তার পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানালে পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে কফিল উদ্দিনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আহত কফিল উদ্দিনের স্ত্রী সুমি আক্তার মোবাইলে জানান, মঙ্গলববার বিকাল ৪টা পর্যন্ত কফিল উদ্দিনের জ্ঞান ফিরেনি। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি তার স্বামীর উপর হামলাকারীদের শাস্তি দাবি করেছেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, যুবলীগ কর্মী রায়হান, জুয়েল, বাবুসহ ১৫-২০ জনের একটি বাহিনী আমান উল্যাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আরিফুর রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় এলাকায় সন্ত্রাস চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। কফিল উদ্দিন ছাড়াও এই বাহিনীর লোকজন এলাকায় আরও অনেকের সাথে এসব ঘটনা ঘটিয়েছে। এই সন্ত্রাসী বাহিনীর নির্যাতন থেকে মুক্তির দাবিও করেন ব্যবসায়ীরা।

আমান উল্যাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা। তিনি কোন বাহিনীকে আশ্রয়-পশ্রয় দেন না। ব্যবসায়ী কফিল উদ্দিনকে যুবলীগ কর্মী রায়হানসহ কয়েকজন মারধর করেছে বলে তিনি শুনেছেন।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামন সিকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। বলেন, অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় আহত কফিলের স্ত্রী বাদী হয়ে রায়হানকে প্রধানসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ এবং ৪-৫ জন অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করেছেন। ইতোমধ্যে মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

(ঢাকাটাইমস/১৭নভেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :