চার বছরেও ব্যবহার হয়নি লঞ্চঘাটের বিশ্রামাগারটি

কৃষ্ণ কর্মকার, বাউফল (পটুয়াখালী)
| আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২০, ১৪:১২ | প্রকাশিত : ১৮ নভেম্বর ২০২০, ১৩:৩৮

নির্মাণের পর থেকে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে পটুয়াখালীর বগা লঞ্চঘাটের যাত্রী বিশ্রামাগারটি। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই ঘাটের লঞ্চযাত্রীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাউফলের বগা লঞ্চঘাটে যাত্রীদের সুবিধার জন্য তিন কক্ষ বিশিষ্ট একটি আধুনিক বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের চার বছর পেরিয়ে গেলেও বিশ্রামাগারটি সাধারণ যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি।

বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে একাধিক যাত্রী জানান, দক্ষিণাঞ্চলের নৌরুটের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন বগা লঞ্চঘাট। প্রতিদিন ঢাকা-পটুয়াখালী রুটের অন্তত ১০টি লঞ্চ এই ঘাটের যাত্রী পরিবহন করে। এছাড়াও অভ্যন্তরীণ রুটের একাধিক লঞ্চ রয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় ঢাকার উদ্দেশ্যে বগা লঞ্চঘাট থেকে কয়েক হাজার যাত্রী তুলে নেয় লঞ্চগুলো। আবার ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চ থেকে প্রতিদিন ভোরে যাত্রী নামিয়ে দেয়া হয়। এক্ষেত্রে রাত হওয়ায় বগা লঞ্চঘাটে নিরপত্তাহীনতায় সময় কাটে যাত্রীদের। তাই বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ বগা লঞ্চঘাটে একটি যাত্রী বিশ্রামাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বগা ঘাটে একটি যাত্রী বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণের পর থেকে ওই বিশ্রামাগারটি তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ফলে যাত্রীরা এসে রাস্তার পাশে অথবা যেখানে সেখানে বসে বিশ্রাম নেন।

বগা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মহিবউল্লাহ বলেন, ‘ লঞ্চযাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমি দেখলেও বিশ্রামাগার উন্মুক্ত করার দায়িত্ব আমার নয়।’

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকেই তালাবদ্ধ দেখছি নবনির্মিত বিশ্রামাগারটি। তবে ওই বিশ্রামাগারে থাকা যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ আমার সহযোগিতা চাইলে সেক্ষেত্রে প্রস্তুত আছি। এছাড়া যদি কখনো বিশ্রামাগার বেদখল হয় সেটাও আমি দেখব।’

পটুয়াখালী নদী বন্দরের কর্মকর্তা খাজা সাদিকুর রহমান বলেন, ‘বিশ্রামাগার পরিচালনার দায়িত্ব লঞ্চঘাট ইজারাদারের। যাত্রীদের সুবিধা-অসুবিধার বিষয়টি তারাই দেখবেন।’

তিনি বলেন, ‘বাউফল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারের লোকজন লঞ্চঘাট পরিচালনা করেন। তার দায়িত্বে রয়েছে ওই বিশ্রামাগার।’

লঞ্চঘাট পরিচালনার অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদার জানান, সম্ভবত পটুয়াখালীর এক ব্যক্তি বগা লঞ্চঘাট ইজারা নিয়েছেন। আর এখানে ইজারাদারের কোনো বিষয় নেই। নির্মাণকাজের ঠিকাদার এখন পর্যন্ত বিশ্রামাগার হস্তান্তর করেননি।

তিনি বলেন, ‘বিশ্রামাগারের নির্মাণকাজ অত্যন্ত নিম্নমানের হয়েছে। যে কারণে ঠিকাদার বিশ্রামাগার হস্তান্তর করতে গড়িমসি করছেন। তারপরও যাত্রীদের সুবিধার জন্য আমি আজকালের মধ্যে ওই বিশ্রামাগার উন্মুক্ত করার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেব।’

(ঢাকাটাইমস/১৮নভেম্বর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :